নয়া দিল্লি: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগেই কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেল কংগ্রেস। আসন্ন অধিবেশনে কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে কাটাতে হবে কংগ্রেসকে। কারণ এবারের অধিবেশনে অংশ নেবেন না কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে ব্যস্ত থাকায়, তিনি সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দেবেন না বলেই জানানো হল কংগ্রেসের তরফে। রাহুল ছাড়াও আরও কয়েকজন নেতাও অনুপস্থিত থাকতে পারেন সংসদ অধিবেশনে।
গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের জন্য পিছিয়ে যেতে পারে সংসদের অধিবেশন। নভেম্বরের বদলে চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হতে পারে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। শুক্রবারই কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে পারে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। আগামী ২৯ ডিসেম্বর অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা। তবে সংসদীয় বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটিই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
শনিবার ভারত জোড়ো যাত্রা ও সংসদের অধিবেশন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, কংগ্রেসের জনসংযোগের জেনারেল সেক্রেটারি ইন চার্জ জয়রাম রমেশ জানান, তিনি ও কয়েকজন হয়তো সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না। তিনি, রাহুল গান্ধী, কেসি বেণুগোপাল ও দ্বিগিজয় সিং ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-এ অংশ নেওয়ায় তারা সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না। জয়রাম রমেশ জানান, তারা এই বিষয়ে সংসদের দুই কক্ষের স্পিকার ও চেয়ারম্যানকেও জানিয়ে দেবেন।
জনসংযোগ ও একতার বার্তা দিতেই কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর অবধি এক বিশাল পদযাত্রার আয়োজন করেছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই ভারত জোড়ো যাত্রা অর্ধেক পথ অর্থাৎ ৩৫৭০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে। বর্তমানে মহারাষ্ট্রে পদযাত্রা চলছে। শিবসেনা, এনসিপির নেতারাও এই পদযাত্রায় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পা মিলিয়েছেন। শুক্রবার শিবসেনার নেতা আদিত্য ঠাকরে, এনসিপি নেতা সুপ্রিয়া সুলে, জয়ন্ত পাটিল সহ একাধিক ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দেন।
আগামী ২২ নভেম্বর ভারত জোড়ো যাত্রা মধ্য প্রদেশে প্রবেশ করবে। অন্যদিকে ওড়িশাতেও কংগ্রেস কর্মীরা ভারত জোড়ো যাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে গত ৩১ অক্টোবর থেকে একটি পদযাত্রা শুরু করেছে। অসমেও ১ নভেম্বর থেকে ৮৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১৯ নভেম্বর ইন্দিরা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে ত্রিপুরা থেকেও একটি পদযাত্রা শুরু করা হবে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে ভারত জোড়ো যাত্রা।