জয়পুর: রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) ও সচিন পাইলটের (Sachin Pilot)-র মধ্যে বিদ্যমান দ্বন্দ্বের কথা সকলেরই জানা। সাম্প্রতিক কালে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে গেহলটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঘিরে ফের একবার এই দুই শিবিরের মধ্যে ফাটল চওড়া হয়েছিল। গেহলটের পরবর্তীতে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সচিন পাইলটের নাম উঠে আসতেই দুই শিবিরের মধ্যে শুরু হয়েছিল চাপা উত্তেজনা। প্রকাশ্যে একে অপরকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েন না। একই দলে থেকেও অশোক শিবির ও সচিন শিবির যেন পৃথক সরলরেখায় হাঁটে। এই আবহেই দুই শিবিরের মধ্যে সদ্ভাব গড়ে তুলতে বুস্টার ডোজ় দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সোমবার তিনি বলেন, দুই নেতাই কংগ্রেসের কাছে সম্পদ। তিনি এও জানিয়েছেন, রাজস্থানের দুই শিবিরের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব কোনওভাবেই ভারত জোড়ো যাত্রায় প্রভাব ফেলবে না।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব ভুলিয়ে সব নেতা-কর্মীদের এক সূতোয় বাঁধতে জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়েছেন রাহুল গান্ধী। গত ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়েছে ভারত জোড়ো যাত্রা। বর্তমানে রয়েছে মধ্য প্রদেশে। আগামী ৪ ডিসেম্বর রাজস্থানে প্রবেশ করবে কংগ্রেসের এই যাত্রা। আর যে উদ্দেশে রাহুল গান্ধীর এই যাত্রা সেটাই ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল রাজস্থানে বর্তমানে কংগ্রেসের পরিস্থিতি দেখে। তবে রাজস্থান যাত্রা প্রবেশের আগেই রাহুল দুই শিবিরের মধ্যে দ্বন্দ্ব কিছুটা মেটানোর চেষ্টা করলেন বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
এদিন মধ্য প্রদেশের ইন্দোরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন ওয়ানাদের সাংসদ। সেই সম্মেলন থেকেই তিনি বলেন, ‘দুই নেতাই কংগ্রেসের কাছে সম্পদ। এর ফলে যাত্রার উপর কোনও প্রভাব পড়বে না।’ এদিকে এদিন যাত্রা আরও কিছুদিন আগে শুরু করা উচিত ছিল কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এক বছর আগেই এই যাত্রার পরিকল্পনা করেছিলেন রাহুল। কিন্তু সেই সময় অতিমারির কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তিনি এদিন বলেছেন, সমগ্র দেশের আওয়াজ তোলার প্ল্যাটফর্ম হল এই ভারত জোড়ো যাত্রা।