Bharat Jodo Yatra: কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর, ১৫০ দিনে ৩৫০০ কিলোমিটার হাঁটবেন রাহুল গান্ধী

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Aug 30, 2022 | 2:59 PM

Congress's Bharat Jodo Yatra: ভারত জোড়ো যাত্রাই হতে চলেছে দলের সবচেয়ে বড় 'জন সংযোগ' কর্মসূচি, সোমবার (২৯ অগস্ট) এমনটাই দাবি করেছে কংগ্রেস। ১৫০ দিনে ৩,৫০০ কিলোমিটার রাস্তা হাঁটবেন রাহুল গান্ধী।

Bharat Jodo Yatra: কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর, ১৫০ দিনে ৩৫০০ কিলোমিটার হাঁটবেন রাহুল গান্ধী
ভারত জোড়ো যাত্রার সাংবাদিক সম্মেলনে জয়রাম রমেশ এবং দিগ্বিজয় সিং

Follow Us

নয়া দিল্লি: ভারত জোড়ো যাত্রাই হতে চলেছে দলের সবচেয়ে বড় ‘জন সংযোগ’ কর্মসূচি, সোমবার (২৯ অগস্ট) এমনটাই দাবি করেছে কংগ্রেস। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে এই যাত্রা শুরু হবে। পরবর্তী ১৫০ দিনে ৩,৫০০ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে চলবে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। শেষ হবে কাশ্মীরে। আর এই গোটা রাস্তাটাই হাঁটবেন রাহুল গান্ধী। সোমবার, আসন্ন এই কর্মসূচির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে সমস্ত রাজ্য শাখার প্রধান ও অন্যান্য পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, কে সি বেনুগোপাল এবং দিগ্বিজয় সিং। পরে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা দাবি করেন, এই যাত্রাকে ঘিরে মানুষের মধ্যে যে বিপুল উত্সাহ এবং উদ্দীপনা দেখা তৈরি হয়েছে, তাতে ‘বিচলিত’ বিজেপি। গেরুয়া শিবির মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এই যাত্রা থেকে তাদের ‘বিমুখ করার কৌশলে’ লিপ্ত হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতারা।

দিগ্বিজয় সিং জানিয়েছেন, ৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ঠিক ৫টায় কন্যাকুমারীতে একটি বিশাল সমাবেশের মাধ্যমে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্মসূচির সূচনা হবে। তিনি বলেন, “৮ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে যাত্রা শিুরু হবে। অংশগ্রহণকারীরা প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা করে হাঁটবেন এবং সারাদেশের মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করবেন। এই যাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পৃথক পদযাত্রার আয়োজন করা হবে।”

দিগ্বিজয় সিং আরও জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী এই যাত্রার পুরো পথই হাঁটবেন। শুধু তাই নয়, এই ভারত জোড়ো কর্মসুচিতে পদযাত্রা করার মধ্য়েই প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি গুজরাট এবং হিমাচল প্রদেশে নির্বাচনী প্রচারেও অংশ নিতে পারেন বলে জানিয়েছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, দুটি রাজ্যেই বছরের শেষেই নির্বাচন। তার আগে গুজরাতে হার্জিক প্যাটেল দল ছেড়েছেন। হিমাচল প্রদেশে গুরুত্বপূর্ণ দলীয় পদ ত্যাগ করেছেন, সেই রাজ্যে কংগ্রেসের মুখ আনন্দ শর্মা।

এই যাত্রার মাধ্যমে কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা তৃণমূল স্তরে জনগণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করবেন এবং “বিজেপি সরকারের অধীনে দেশের যে সমস্যাগুলি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে”, সেই বিষয়গুলি মানুষের কাছে তুলে ধরবেন। বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক দূরাবস্থার মতো সমস্যাগুলি নিয়ে মানুষের দরজায় দরজায় যাওয়া হবে। দেশের সামাজিক কাঠামোকে ঐক্যবদ্ধ করতেও সাহায্য করবে এই যাত্রা, এমনটাই দাবি কংগ্রেসের।

সোমবারের বৈঠকে, যাত্রার বিস্তারিত ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য শাখার প্রধান এবং সমন্বয়কারীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। ঠিক হয়েছে মাত্র ১০টি রাজ্যের মধ্য দিয়ে এই ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ হবে। যে যে রাজ্যে এই যাত্রা পৌঁছবে না, সেই রাজ্যগুলিতে রাজ্য-স্তরে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্মসূচি পালন করা হবে। সমস্ত রাজ্য শাখার সভাপতি এবং কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেতারা তাঁদের নিজ নিজ রাজ্যে ভারত জোড়ো যাত্রার আয়োজন করবেন।

কে সি বেনুগোপাল জানিয়েছেন, ৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ টায় যখন কন্যাকুমারী থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হবে, ওই একই সময়ে কংগ্রেস কর্মীরা দেশের সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে সমাবেশ করবেন। তিনি বলেছেন, “পুরো দেশ এখন এই পদযাত্রার জন্য অপেক্ষা করছে। সমস্ত কংগ্রেস কর্মী এই কর্মসূচি নিয়ে উত্সাহী। এই যাত্রা ঐতিহাসিক এবং বিশাল হতে চলেছে এবং সেই কারণেই বিজেপি এটা নিয়ে খুবই চিন্তিত। তারা এই যাত্রা ভঙ্গ করতে সমস্ত নেতিবাচক রাজনীতির আশ্রয় নেবে।” জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, পাঁচ মাসের এই যাত্রায় যত বেশি সম্ভব মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের এবং তাদের অভাব অভিযোগ ও উদ্বেগের কথা শোনার চেষ্টা করা হবে।

Next Article