নয়া দিল্লি: সাময়িক স্বস্তি পেলেন রাহুল গান্ধী। ‘মোদী পদবি’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য, গত মাসে এক ফৌজদারি মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল কংগ্রেস নেতাকে। দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সোমবার এই মামলায় তাঁকে জামিন দিল গুজরাটের সুরাটের এক দায়রা আদালত। সাজা ঘোষণার সময়ই রাহুলকে সেই সাজার বিরুদ্ধে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অবিলম্বে তাঁর সাজা স্থগিত রেখে, তাঁকে ৩০ দিনের জন্য জামিন দেওয়া হয়েছিল। যাতে তিনি উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারেন। এদিন সুরাটের দায়রা আদালত জানিয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৩ এপ্রিল। ওইদিন পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এবং তাঁর সাজাও ওইদিন পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে।
সূত্রের খবর, এদিন আদালতে দুটি আবেদন করেছেন। প্রথম আবেদনে তাঁকে যে সাজা দেওয়া হয়েছে তার উপর স্থগিতাদেশ চেয়েছেন তিনি। এটি মূলত নিয়মিত জামিনের আবেদন। দ্বিতীয়টিতে, সাসপেনশন অফ কনভিকশন অর্থাৎ, তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে। যদি দ্বিতীয় আবেদনটি মেনে নেয় আদালত, সেই ক্ষেত্রে রাহুল গান্ধী তাঁর লোকসভার আবেদন ফিরে পাবেন। ২৩ মার্চ, সুরাটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। তারপরই তাঁকে লোকসভার সাংসদ হিসাবে অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
এদিন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সুরাট আদালতে উপস্থিত হন তাঁর বোন তথা কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। এছাড়া, রাহুল গান্ধীকে নৈতিক সমর্থন জানাতে গুজরাটে এসেছেন কংগ্রেস শাসিত তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী – অশোক গেহলট, ভূপেশ বাঘেল এবং সুখবিন্দর সিং সুখু। বোন প্রিয়াঙ্কা এবং দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে রাহুল গান্ধীর সুরাট সফরকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের মতে বিচার বিভাগের উপর চাপ দেওয়ার জন্য এটা একটা ‘শিশুসুলভ প্রয়াস’।
এদিন ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন পাওয়ার পর, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তাঁর আইনি লড়াইকে ‘মিত্রকাল’-এর বিরুদ্ধে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই বলেছেন। তিনি বলেন, “এটা ‘মিত্রকাল’-এর বিরুদ্ধে গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াই। এই সংগ্রামে সত্যই আমার অস্ত্র, সত্যই আমার সমর্থন!”