নয়া দিল্লি: কাজের সূত্রে অনেক সময় বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও গিয়ে থাকতে হয়। শহর ছেড়ে গ্রামাঞ্চলেও থাকতে হয় চাকরি সূত্রে। সে ক্ষেত্রে অনেকেই নিজের বাইক বা সাইকেল সঙ্গে নিয়ে যেতে চান। সে ক্ষেত্রে বিমানের থেকে কম টাকায় নিজের বাইক বা সাইকেল নিয়ে যেতে হলে ট্রেনেই ভরসা রাখতে হবে। দূরের গন্তব্যে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রেও রেলের ভাড়া অন্যান্য পরিবহনের তুলনায় কম। আর পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও খরচ অনেক কম।
কোনও ঝামেলা ছাড়াই সরাসরি ট্রেনের মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পণ্য পাঠানো যায় ট্রেনে। ট্রেনে ভ্রমণের সময় যাত্রী তাঁর বাইকটি সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেন। যে ট্রেনে ভ্রমণ করেন, তাতে থাকে লাগেজ কোচও। বাইকটি সেই কোচেই নিয়ে যাওয়া হয়। গন্তব্যে পৌঁছনোর পর, বাইকটি রেলওয়ে বিভাগ থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। এই পদ্ধতির ক্ষেত্রে আগে থেকে বুকিং করতে হবে।
এছাড়া অটোমোবাইল বহনকারী পরিবহনের মাধ্যমেও গাড়ি পাঠানো যায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। সে ক্ষেত্রে গাড়িটিকে একটি পার্সেল হিসেবে বুক করতে হবে। একেবারে নিরাপদে গাড়ি পৌঁছে যাবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। এছাড়া পণ্যবাহী ট্রেনের কথা তো সবাই জানেন। তাতেও গাড়ি বা বাইক এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। আপনার গাড়ি কতদূর পাঠানো হচ্ছে, তার উপর ভিত্তি করে ফি নির্ধারণ করা হয়। আপনার গাড়ি যত দূরত্ব যাবে, চার্জ তত বাড়বে।
যদি বাইকটি ৫০০ কিলোমিটার পার করে, তাহলে প্রায় ২০০০ টাকার মতো খরচ পড়ে। ৮০০০ টাকা পর্যন্তও চার্জ নেওয়া হয়। প্যাকিংয়ের জন্য আলাদা চার্জ দিতে হবে।