বাহানাগা: ওড়িশার বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express Accident) দুর্ঘটনায় মৃতদের অনেকেই দেহ এখনও শনাক্ত করা হয়নি। তাই মৃতদের দেহ শনাক্তকরণের জন্য তাঁদের পরিজনদের ডিএনএ-র নমুনা (DNA Sample) সংগ্রহ করতে চাইছে রেল। মৃত ব্যক্তির সঙ্গে পরিজনের ডিএনএ নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে এবং তারপর দেহটি পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হবে। রেলের কাছে যাঁরা দাবি করছেন, তাঁরা শনাক্ত না হওয়া মৃতের পরিজন… তাঁদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করবে রেল। রেলের তরফে এমনই জানানো হয়েছে। ওড়িশার ভুবনেশ্বর এইমসে এই ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজ হবে। এদিকে রেল সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনায় শনাক্ত না হওয়া দেহগুলির জন্যে অনেক ক্ষেত্রেই একাধিক দাবিদার পরিজন হয়ে উঠে আসছে।
সূত্রের খবর, ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায় এক একটি দেহের জন্য কোনও কোনও ক্ষেত্রে ছয়-সাত জন দাবিদারও আসছেন। সেই কারণেই, যাঁরা নিজেদের পরিজন বলে দাবি করছেন, তাঁদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে। একটি দেহের জন্য অনেক দাবিদার এসে ক্ষতিপূরণের অর্থ দাবি করার ফলে ক্ষতিপূরণ ঘিরে একটি জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রেলের আধিকারিকরা। এই একাধিক দাবিদার উঠে আসাকে কেন্দ্র করে জটিলতার বিষয়টি এর আগেও সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল।
এদিকে দুর্ঘটনায় যে দেহগুলির অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে, সেগুলি নিয়ে চিন্তায় পড়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। কারণ, দেহগুলির অবস্থা এতটাই খারাপ, সেগুলি শনাক্ত করা যাচ্ছে না। আর এদিকে সূত্রের খবর, ওই শনাক্ত না হওয়া দেহগুলির একাধিক দাবিদার উঠে আসছেন। ফলে সামগ্রিক বিষয়টি নিয়ে মহা সঙ্কটে রেল। একদিকে যেমন দেহ অদল-বদল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে, তেমনই ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েও জটিলতা তৈরি হচ্ছে। রেল সূত্রে খবর, সেই কারণেই যাঁরা দাবিদার হয়ে হাসপাতালে আসছেন, তাঁদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে দেহগুলি প্রকৃত পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।