Rajasthan High Court: কমিশনের অন্দরেই দুর্নীতি! পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের, ফের পরীক্ষায় বসতে হবে ৮২৪ জনকে
Police Sub-Inspector Examination Scam: ২০২১ সালের এই নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল ২০২৪ সালের ২ মে। শেষ চার্জশিট দাখিল করা হয় ২০২৫ সালের ৩১ জুলাই। মোট ১১৮ জনের নাম ছিল চার্জশিটে। নতুন করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যেই এই দুর্নীতিতে ১২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জয়পুর: আদালতের নির্দেশে বাতিল হয়ে গেল পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগ পরীক্ষা। রাজস্থান হাই কোর্টের তরফে বৃহস্পতিবার (২৮ অগস্ট) ২০২১ সালের পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজস্থান পাবলিক সার্ভিস কমিশনই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত। তদন্তে এই তথ্য উঠে আসতেই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে দিল। নতুন করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যেই এই দুর্নীতিতে ১২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২০২১ সালের এই নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল ২০২৪ সালের ২ মে। শেষ চার্জশিট দাখিল করা হয় ২০২৫ সালের ৩১ জুলাই। মোট ১১৮ জনের নাম ছিল চার্জশিটে। ৫ জন ব্য়ক্তি, যাদের ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া এখনও বাকি। এছাড়া ৮৮ জন এই মামলায় পলাতক। গত ১৪ অগস্ট শেষ শুনানি হয়। বৃহস্পতিবার, ২৮ অগস্ট হাই কোর্টের তরফে ২০২১ সালের পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারকে নতুন করে পরীক্ষা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন পরীক্ষায় বসার জন্য বয়সসীমাতেও ছাড় দিতে বলা হয়েছে।
রাজস্থান হাই কোর্টের তরফে রাজস্থান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারপার্সন বাবুলাল কাটারা ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য রামু রাইকাকে দায়ী করা হয় প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য। পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল ভিকে সিংয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাবুলাল কাটারা পরীক্ষা হওয়ার আগে প্রশ্নপত্র কপি করে তা সার্কুলেট করেছিলেন। অন্যদিকে, রামু রাইকা ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে পড়ুয়াদের পড়িয়েছিলেন, পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। কমিশনের আরও চার সদস্যের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে। স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের তরফে বলা হয়, “লঙ্কার অন্দরে থাকা বিশ্বাসঘাতকই লঙ্কা ধবংস করেছে”। যে ৮২৪ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিলেন এবং প্রশিক্ষণের জন্য বাছাই করা হয়েছিল, তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। যারা অন্য চাকরি ছেড়ে সাব ইন্সপেক্টরের চাকরি করার জন্য পরীক্ষায় বসেছিলেন, তাদের আপাতত পুরনো চাকরিতেই নিয়োগ করতে বলা হয়েছে যতদিন পর্যন্ত পুনরায় পরীক্ষার নোটিস না ইস্যু করা হয়। মামলাকারীদের তরফে হাজির আইনজীবী বলেন যে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর এটা সত্যের জয়।
