AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kerala High Court: ‘বিবাহিত পুরুষ জেনেও কোনও মহিলা যদি যৌন সম্পর্কে এগোন…’, গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

Rape on false promise: কেরালা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, কোনও পুরুষ বিবাহিত জেনেও কোনও মহিলা যদি তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক চালিয়ে যান, সেই ক্ষেত্রে বিবাহের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে ধর্ষণের অভিযোগ ধোপে টিকবে না।

Kerala High Court: 'বিবাহিত পুরুষ জেনেও কোনও মহিলা যদি যৌন সম্পর্কে এগোন…', গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
ছবি সৌজন্যে : টুইটার
| Edited By: | Updated on: Oct 09, 2022 | 7:13 PM
Share

কোচি: কোনও পুরুষ বিবাহিত জেনেও কোনও মহিলা যদি তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক চালিয়ে যান, সেই ক্ষেত্রে বিবাহের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ধোপে টিকবে না। সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিল কেরালা হাইকোর্ট। বিচারপতি কওসার এডাগাপথের বেঞ্চ বলেছে, “এই ধরনের যুগলের মধ্যে যে কোনও যৌনতাকে শুধুমাত্র প্রেম এবং আবেগের ফল হিসাবে ধরা যেতে পারে। বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌনতা বলে ধরা হবে না।”

মামলাটির আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি নয় বছর ধরে আবেদনকারীকে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারতে এবং বিদেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। তাই অভিযুক্ত ব্যক্তি, আবেদনকারীকে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে, আদালত জানিয়েছে, আবেদনকারীর বিবৃতি থেকেই স্পষ্ট যে, ২০১০ সাল থেকেই অভিযুক্তের সঙ্গে আবেদনকারীর পরিচয় ছিল। তিনি জানতেন অভিযুক্ত পাঁচ-ছয় বছর আগে বিয়ে করেছিলেন। তবুও, তিনি ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অভিযুক্তের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে ছিলেন।

এই ক্ষেত্রে বিয়ে করার মিথ্যা অজুহাতে ধর্ষণের অভিযোগ বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এই ক্ষেত্রে যৌনতা শুধুমাত্র আবেদনকারীর প্রতি ভালবাসা এবং আবেগের কারণে ঘটেছে বলে ধরা হবে। আবেদনকারীকে তিনি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বা নিজের অবস্থা ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন, এমনটা বলা যাবে না।

আদালত আরও বলেছে, ধরা যাক কোনও পুরুষ কোনও মহিলাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেই প্রতিশ্রুতি রাখেনি। সেই ক্ষেত্রেও সবসময় যৌন মিলনকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা অনুযায়ী ধর্ষণ বলে ধরা হবে না। যদি দেখা যায় অভিযুক্তের বিয়ের কোনও অভিপ্রায়ই ছিল না। কিন্তু, সে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌনমিলনের সম্মতি আদায় করেছিল। তবেই, সেই কাজকে অপরাধ বলে ধরা হবে। এরপরই আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ খারিজ করে দেয়।