নয়া দিল্লি: রবিবার শপথগ্রহণ পর্ব চলাকালীন রাষ্ট্রপতি ভবনে কি সত্যিই চিতাবাঘ ঢুকে পড়েছিল? সেই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান চলাকালীন কোন রহস্য-পশুর উদয় হল রাষ্ট্রপতি ভবনে? এই নিয়ে যখন জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে, তখন রহস্য-ভেদ করল দিল্লি পুলিশ। এক্স হ্যান্ডেলে দিল্লি পুলিশের তরফে সকলের উদ্বেগ দূর করা হয়েছে। সেটি আদৌ কোনও চিতাবাঘ ছিল না। চিতাবাঘ তো দূর, কোনও বন্য পশুও নয় সেটি। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সেটি একটি সাধারণ বিড়াল।
রাষ্ট্রপতি ভবনে তখন চাঁদের হাট। শপথগ্রহণ পর্ব চলছে। দেশ বিদেশের আমন্ত্রিত অতিথিরা বসে রয়েছেন। মধ্যপ্রদেশের সাংসদ দুর্গাদাসে তখন শপথ চলছে। ঠিক সেই মুহূর্তে ক্ষণিকের জন্য দেখা ওই প্রাণীকে। সেই ছবি নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সাধারণ বিড়ালের থেকে একটু বড়সড় মাপের ওই প্রাণীটি আসলে কী? চিতাবাঘ? নাকি বিড়াল? নাকি অন্য কিছু? প্রাণীবিদদের একটি অংশ অবশ্য শুরু থেকেই বলছিলেন, সেটি চিতাবাঘ নয়, বরং ‘সাভানা ক্যাট’ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আকারে একটু বড়সড় ধরনের একটি বিড়ালের প্রজাতি হল সাভানা ক্যাট।
এই জল্পনা-গুঞ্জনের মাঝেই এক্স হ্যান্ডেলে দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সময় একটি প্রাণীর ছবি দেখানো হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিতে দাবি কার হচ্ছে, সেটি কোনও বন্য প্রাণী। কিন্তু তা সত্য নয়। যে প্রাণীটিকে দেখা গিয়েছে, সেটি একটি সাধারণ বিড়াল।
উল্লেখ্য, মোট ৩৩০ একর এলাকার রাষ্ট্রপতি ভবন চত্বরের ৭৫ একর জুড়ে রয়েছে গাছপালা, জঙ্গল। সেখানে প্রায় ৮৪ প্রজাতির প্রাণীর বাস রয়েছে। এর মধ্যে শুধু পাখিই রয়েছে ৩২ প্রজাতির। রাষ্ট্রপতি ভবনের এই চত্বরে ১৬০টি প্রজাতির প্রায় ৫ হাজার গাছ রয়েছে।