নয়া দিল্লি: তৃতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। রবিবার (৯ জুন), তিনি ও আরও ৭১ জন মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেছেন। সোমবার (১০ জুন), নয়া মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে নয়া মন্ত্রীদের মন্ত্রক বন্টনও করা হয়ে গিয়েছ। তবে, তার আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অর্থাৎ, পিএমও-র কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে শক্তিকেন্দ্র হিসেবে নয়, বরং জনগণের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “আমার প্রয়াস ছিল, পিএমও-কে একটি পরিষেবার প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা। পিএমও হওয়া উচিত জনগণের পিএমও। এটা মোদীর পিএমও হতে পারে না।”
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “১০ বছর আগে আমাদের দেশে প্রদানমন্ত্রীর কার্যালয় নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা অন্যরকম ধারণা ছিল। মানুষ মনে করত, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটা ক্ষমতার কেন্দ্র। এটা অত্যন্ত বড় এক ক্ষমতার কেন্দ্র। আমি ক্ষমতা ভোগের জন্যও জন্মাইনি, শক্তি অর্জনের কথাও আমি ভাবি না। পিএমও ক্ষমতার কেন্দ্র হয়ে উঠুক, শক্তির কেন্দ্র হয়ে উঠুক, এটা আমার ইচ্ছেও নয়, রাস্তাও নয়। আমি ২০১৪ সাল থেকে পিএমও-কে একটি অনুঘটক হিসেবে তৈরি করার চেষ্টা করেছি।” প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল পিএমও সম্পর্কে শক্তি ছড়িয়ে পড়ুক। এখান থেকে নতুন চেতনা ছড়িয়ে পড়ুক। আমার চেষ্টা ছিল পিএমও একটি পরিষেবার অধিষ্ঠান হয়ে উঠুক। পিএমও হওয়া উচিত জনগণের। এটি মোদির পিএমও হতে পারে না।”
मेरा शुरू से प्रयास रहा है कि PMO सेवा का अधिष्ठान और People’s PMO बने। pic.twitter.com/MtOCM3NFOu
— Narendra Modi (@narendramodi) June 10, 2024
ভোট চলাকালীন নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, তাঁকে পরমাত্মাই তাঁর উদ্দেশ্য পূরণের জন্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। এদিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মীদের সামনে তিনি দাবি করেন, দেশের ১৪০ কোটি মানুষই তাঁর কাছে পরমাত্মার রূপ। মোদী বলেন, “আমার হৃদয়ে ও মস্তিষ্কে ১৪০ কোটি মানুষ ছাড়া কেউ নেই। আমার কাছে ১৪০ কোটি মানুষ নাগরিক নয়, তারা আমার জন্য পরমাত্মার রূপ। আমি যখন কোনও সরকারি সিদ্ধান্ত নিই, আমি মনে করি এই ভাবে আমি ১৪০ কোটি দেশবাসীর পূজা করছি। একেকটা প্রকল্প তাঁদের পায়ে ফুলের মতো দিচ্ছি।” প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও জানান, ভিতরের ছাত্রকে বাঁচিয়ে রাখলে তবেই সফল হওয়া যায়। তিনি জানান, অনেকেই তাঁকে প্রশ্ন করেন, তিনি এত কাজ করার শক্তি কোথা থেকে পান, কেন ক্লান্ত হন না? তিনি বলেন, “আমার শক্তির রহস্য হল, আমি আমার মধ্যে থাকা ছাত্রকে সারা জীবন বাঁচিয়ে রেখেছি।”