নয়া দিল্লি ও কলকাতা: গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) বুধবার সন্ধেয় ইডির (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন দিল্লিতে প্রবর্তন ভবনে ইডির অফিসে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় সুকন্যাকে। ঠিক কী কী কারণে এদিন গ্রেফতার করা হল কেষ্ট-কন্যাকে? ইডি সূত্রে খবর, সুকন্যাকে গ্রেফতার করার পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, গরু পাচার মামলার তদন্তে অসহযোগিতা করা, তদন্তের কাজে বিভ্রান্তি তৈরি করা এবং তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করেছেন সুকন্যা। সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এর আগেও একাধিকবার কেষ্টকন্যাকে দিল্লিতে ইডির অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, সেই সময় গরহাজিরার যে কারণ তদন্তকারীদের কাছে উল্লেখ করা হয়েছে, সেই কারণও সঠিক বা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এদিকে ইডি সূত্র মারফত এও জানা যাচ্ছে, এদিন যখন সুকন্যা মণ্ডলকে দিল্লিতে ইডির অফিসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল, সেই সময়েও তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। সেই সব মিলিয়েই সুকন্যাকে গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে সুকন্যার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ যে করতে পারে ইডি, এমন একটি আভাস বেশ কিছুদিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছিল। বিশেষ করে, অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পর ইডির তরফে রাউজ এভিনিউ আদালতে বলা হয়েছিল, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর মেয়ে সহ ঘনিষ্ঠ ১২জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। সেই সময় কেষ্ট ছিলেন ইডি হেফাজতে। কেষ্ট ইডি হেফাজতে থাকাকালীন দুইবার তলব করা হয়েছিল সুকন্যাকে। কিন্তু দুইবারই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি।
ইডি সূত্র মারফত এর আগেও একাধিকবার জানা গিয়েছিল, অনুব্রত কন্যার বিরুদ্ধে যে সব তথ্য-প্রমাণ উঠে এসেছে, তা তাঁকে গ্রেফতারির জন্য যথেষ্ট ছিল। প্রশ্ন উঠছিল, সেই কারণেই কি তিনি হাজিরা দিচ্ছেন না? শেষ পর্যন্ত এদিন যখন তিনি দিল্লিতে ইডি অফিসে যান, তখন দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।