দিল্লি: যোগ্যদের চাকরি থাকবে? বাতিল হবে অযোগ্যদের চাকরি? নাকি পুরো প্যানেলই বাতিল হবে? আপাতত তা নিয়েই চলছে জল্পনা-কল্পনা। কারণ, বৃহস্পতিবার চাকরি বাতিল মামলার চূড়ান্ত রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। বেলা সাড়ে দশটায় প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এই মামলার রায়দান। ফলত, সেই রায়ের দিকেই তাকিয়ে ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী
রাজ্যের শিক্ষা সচিব বিনোদ কুমার বলেন, “এই নিয়ে এখনই কিছু বলব না। কোর্টে অর্ডার আছে। তবে টিমের সঙ্গে বসে বাকিটা বলব”
২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের পুরো প্য়ানেল বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, ‘কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজনীয়তা আমরা বোধ করছি না।’
তবে বহাল থাকল সোমা দাসের চাকরি। মানবিক কারণে তাঁর চাকরি বহাল রেখেছে কোর্ট।
বিস্তারিত পড়ুন: Recruitment scam verdict: ১ জনেরই চাকরি বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট, কেন?
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজনীয়তা আমরা বোধ করছি না।’ অর্থাৎ ২৬ হাজারের যে নিয়োগ হয়েছিল তা বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট: যে সমস্ত প্রার্থীরা অযোগ্য নয়, তাঁরা যে ডিপার্টমেন্টে কাজ করতেন সেখানে কাজ করবেন।
সুপ্রিম কোর্ট: ‘ফ্রেস সিলেকশন’ প্রসেস হবে। এই ‘ফ্রেস সিলেকশন’ প্রসেসের কাজ তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট: সোমা দাসের চাকরি বহাল থাকছে। মানবিক কারণে তাঁর চাকরি বহাল থাকছে।
সুপ্রিম কোর্ট: অবৈধ শিক্ষকদের টাকা ফেরত দিতে হবে
সুপ্রিম কোর্ট: নতুন করে পরীক্ষায় বসতে পারবেন চাকরি প্রাপকরা।
সুপ্রিম কোর্ট: ইন সার্ভিস অর্থাৎ যারা ১৬ সালের আগে চাকরিরত অবস্থায় চাকরি পেয়েছিলেন তারা স্বস্তিতে। তাঁরা চাকরি করতে পারবেন। তাঁদের পরীক্ষায় বসতে হবে না। তাঁরা নিজেদের দফতরে জানাবেন। আগের দফতরে ফিরতে পারবেন।
সুপ্রিম কোর্ট: চিহ্নিত অযোগ্যরা আর পরীক্ষাতে বসতে পারবেন না। ১২ শতাংশ সুদের হারে বেতন ফেরত দিতে হবে। বাকি ২০ হাজার যোগ্যরা পরীক্ষা বসতে পারবেন।
সুপ্রিম কোর্ট: রাজ্য সরকার চাইলে যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও নিয়োগের জন্য নোটিফিকেশন বের করতেই পারে। তার জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রয়োজন নেই। যোগ্যরা সেই পরীক্ষায় বসতে পারে।
একদিকে যখন রায় ঘোষণা হতে আর কিছু সময় বাকি, তখন আবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ২০২২ সালে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা বেলা একটা নাগাদ বিকাশ ভবন শিক্ষাদফতরে এ যাচ্ছেন।
১. পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হতে পারে
২. দৃশ্যত যোগ্যদের চাকরি থাকবে, দৃশ্যত অযোগ্যদের চাকরি বাতিল
৩. যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করার মাপকাঠি ঠিক করে দিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সংখ্যাটা নির্ধারণ হবে কীভাবে? এক-একজন, এক-এক সংখ্যা দিচ্ছে। দশ হাজার এসএসসি স্বীকার করছে। আরও কত আছে যে যা এসএসসি স্বীকার করেনি কে জানে।”