মুম্বই: হিন্ডেনবার্গের রিসার্চের রিপোর্ট আসার পর থেকেই বিপাকে পড়েছে আদানি গোষ্ঠী। আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার দর হুড়মুড়িয়ে পড়েছে। গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে ওঠা দু্র্নীতির অভিযোগের তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সংসদরে দুই কক্ষে সরব হয়েছেন কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দল। এই পরিস্থিতিতেই আদানির বিষয়ে মুখ খুলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আদানির বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির ব্যাপারে সাফ জানিয়ে দিলেন, “নিয়ন্ত্রকরা তাদের কাজ করছেন।” নিয়ন্ত্রক বলতে সেবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতো সংস্থার কথা বলতে চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী। হিন্ডেনবার্গ কাণ্ডের পর ওই দুই সংস্থার বক্তব্য স্মরণ করিয়েছেন নির্মলা।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুম্বইয়ে সীতারামন বলেছেন, “নিয়ন্ত্রকরা তাঁদের কাজ করেছেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গতকাল কী বলেছে তা আপনারা জানেন। এর পাশাপাশি ব্যাঙ্ক এবং এলআইসি ঋণের বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। তাই নিয়ন্ত্রকরা বিষয়টির উপর নজর রাখছেন এবং নিজেদের কাজ করছেন।” নিয়ন্ত্রকরা যে নিজেদের কাজের ব্যাপারেজ স্বাধীন সেই বিষয়টিও এ দিন উল্লেখ করেছেন নির্মলা। তিনি বলেছেন, “নিয়ন্ত্রকরা স্বাধীন। বাজারকে প্রধান অবস্থায় নিয়ন্ত্রিত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে। সেবি (সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া) বাজারের অবস্থা অক্ষত রাখছে।”
আদানি গ্রুপের নতুন করে শেয়ার ছাড়ার বিষয়টি নিয়েও সাংবদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন নির্মলাকে। সেই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এফপিও-র প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “এই দেশে কত বার এফপিও তুলে নেওয়া হয়েছে? এ জন্য কত বার দেশের ভারমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে?” আমেরিকার শর্ট সেলিং সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ এক রিপোর্টে দাবি করে, আদানি গ্রুপ কারচুপি করে নিজেদের শেয়ার দর বাড়িয়েছেন। পাশাপাশি আদানি গ্রুপের ঋণশোধের বিষয়টি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল ওই রিপোর্টে। যদিও সেই রিপোর্টের দাবি নস্যাৎ করে আদানি গোষ্ঠী। কিন্তু তা সত্ত্বেও আদানি গ্রুপের শেয়ারে ধস নামা আটকায়নি।