নয়া দিল্লি: প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রতারণার দায়ে দেশ ছেড়েছিলেন ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি (Mehul Choksi)। আগেই ডমিনিকা (Dominica) কোর্টে মেহুলের প্রত্যার্পন মামলার শুনানি চলছিল। ডমিনিকা সরকার মেহুলকে ভারতের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া পক্ষেই সওয়াল করেছিল। অন্যদিকে দ্বীপরাষ্ট্রে ডমিনিকা প্রশাসন ‘অবৈধভাবে’ সেদেশে ঢোকা নিয়ে মেহুলের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছিল, তা বন্ধ করে দিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। হিরে ব্যবসায়ী মেহুলকে পাগলের মতো খুঁজছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্ক থেকে ঋণের নামে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তছরুপের মামলায় মেহুলের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ডমিনিকা আদালতে শারীরিক সমস্যার জন্য জামিন পাওয়ার পর গত বছর জুলাইতেই তিনি অ্যান্টিগুয়া উড়ে গিয়েছিলেন। মেহুল চোকসির সাম্প্রতিক যে ছবি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে আগের সঙ্গে অনেক ফারাক দেখা গিয়েছে। ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে, এই হিরে ব্যবসায়ী শারীরিকভাবে অনেকটাই অক্ষম হয়ে গিয়েছেন, এবং তাঁর ওজনও অনেকটাই কমে গিয়েছে।
চোকসি ডমিনিকাতে ‘অবৈধভাবে প্রবেশ’-র দাবির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন। মেহুলের দাবি ছিল ২০২১ সালের ২৩ মে অ্যান্টিগুয়ার জলি হারবার থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। মেহুল জানিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁকে অপহরণ করেছিল, তাদের দেখে পুলিশকর্মী মনে হয়েছে এবং তাদের মধ্যে অ্যান্টিগুয়ান এবং ভারতীয়রা ছিল। সেখান থেকে নৌকায় করে তাঁকে ডমিনিকাতে আনা হয়েছিল বলেই জানিয়েছিলেন। ২০১৮ সাল থেকে অ্যানিগুয়াতেই থাকছিলেন মেহুল চোকসি। তাঁকে সেখানকার নাগরিকত্বও দেওয়া হয়েছিল।
ভারতের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনকে প্রতারণা করার অভিযোগে সিবিআই সম্প্রতি হিরে ব্যবসীয় মেহুল ও তাঁর সংস্থা গীতাঞ্জলি জেমসের বিরুদ্ধে নতুন একটি মামলা রুজু করেছে। চোকসি ও তাঁর ভাগ্নে নীরব মোদীর বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের ব্র্যাডি হাউস শাখার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের ঘুষ দিয়ে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অ্যান্টিগুয়া পাশাপাশি মেহুল চোকসির বারবুদার নাগরিকত্বও রয়েছে। অন্যদিকে জামিন মঞ্জুর না হওয়ার নীরব মোদী লন্ডনের একটি কারাগারে বন্দি।