নয়া দিল্লি: রাত পেরলেই ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day)। তার আগে বিশেষ ঘোষণা করল আবগারি কমিশন। বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি গোটা দিল্লিতে পালিত হবে ড্রাই ডে। দিল্লির ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি বা এনসিটির তরফে জানানো হয়েছে আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজতন্ত্র দিবস ছাড়াও ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন, ও স্বাধীনতা দিবসেও ‘ড্রাই ডে’ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আঁটসাঁট করা হয়েছে নিরাপত্তা।
আগামী ২৬ জানুয়ারি রাজধানীতে কোনও মদের দোকান খোলা রাখা যাবে না বলেই নির্দেশ দিয়ে আবগারি কমিশন। পাশাপাশি নজর দেওয়া হয়েছে রাজধানীর নিরাপত্তাতেও। সম্প্রতি, প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে গাজিপুরের ফুলের বাজারে উদ্ধার হওয়া আইইডি বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা। রাজধানীর রাজপথে ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম বসানো সহ ৩০০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।
নয়া দিল্লির ডিসিপি দীপক যাদব জানিয়েছেন, জঙ্গি নাশকতার সম্ভাবনার পাশাপাশি বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণও দিল্লি পুলিশের চিন্তা আরও বাড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, পুলিশকে রাজধানীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
দীপক যাদব জানিয়েছেন, “নয়া দিল্লি এলাকা ও তার আশেপাশে বসবাসকারী ভাড়াটে এবং হোটেলগুলিতে থাকা অতিথিদের ওপর বাড়তি নজরদারি করা হচ্ছে। এবং প্রয়োজনে তাদের পরিচয় যাচাইযের প্রক্রিয়াও চলছে। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তৎক্ষণাত পদক্ষেপের জন্য কুইক রেসপন্স টিম তৈরি রাখা রয়েছে। কোনও ধরনের উড়ন্ত বস্তু যেন নিরাপত্তা বিঘ্নিত না করতে পারে সেই কারণে অ্যান্টি ড্রোন টিমও মোতায়েন করা হচ্ছে।”
দিল্লি পুলিশের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম থাকা ৩০০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা শহরের নানা যায়গায় বসানো হবে। ওই সিস্টেমে ৫০ হাজার জন্য সন্দেহভাজন অপরাধীর তথ্য থাকবে। ক্যামেরাতে তাদের দেখা পাওয়া গেলেই সঙ্গে সঙ্গে তাদের সনাক্ত করা সম্ভব হবে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, করোনা বিধির কারণে প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠানের মোট ৪ হাজার টিকিট বাজারে পাওয়া যাবে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ২৪ হাজার জন উপস্থিত থাকতে পারেন বলেই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
ইতিমধ্যেই, প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের কারণে দিল্লিতে মহড়ায় অংশগ্রহণ করে বেশ কিছু সেনা হেলিকপ্টার। রবিবার সকালে দিল্লির আকাশে বায়ুসেনার চপার উড়তে দেখা গিয়েছে। অনুষ্ঠানের জন্য কোনও ধরণের খামতি রাখতে চাইছে না সেনা। রবিবার সকালের রাজপথ থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে উড়ে গিয়েছে বায়ুসেনার মিগ ১৭ চপার। চরাকে জাতীয় প্রতীক ও সেনার প্রতীকও দেখা গিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনী, সম্পূর্ণ ইউনিফর্ম পরিহিত এবং তাদের নিজ নিজ ব্যান্ডের সাথে, ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের জন্য রাজধানীর রাজপথে মহড়া দিয়েছেন।