কাশ্মীর: আশঙ্কা করা হয়েছিল আগেই। দু’দিন পরে ধসে যাওয়া সুড়ঙ্গ (Tunnel) থেকে উদ্ধার করা হল ১০ শ্রমিকের মৃতদেহ। প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে উদ্ধারকাজ চলার পর ওই ১০ শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৫ জন পশ্চিমবঙ্গের। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীর(Jammu-Kashmir)-র রামবান জেলায় একটি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে আচমকা ধস নামে। তিনজন শ্রমিক কোনওমতে বেরিয়ে আসতে পারলেও, ভিতরে আটকে পড়েন ১০ জন শ্রমিক। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছিল। শনিবার প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়, উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে। ভিতরে আটকে থাকা ১০ শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ের উপরে অবস্থিত খুনি নালা এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে ধস নেমেছিল গত বৃহস্পতিবার। উদ্ধারকাজ চলাকালীনই শুক্রবার পাশের মাকেরকোটে এলাকায় পাহাড়ের একটি অংশ ধসে যায়। এর জেরে জম্মু-কাশ্মীর জাতীয় সড়কের একাংশ বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যে সংস্থাকে সুড়ঙ্গ নির্মাণের বরাত দেওয়া হয়েছিল, তারা সুরক্ষাবিধি অনুসরণ না করাতেই দুর্ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যেই পুলিশ ওই সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে।
যে ১০ জন শ্রমিক সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৫ জন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তাঁদের নাম হল যাদব রায় (২৩), গৌতম রায় (২২), সুধীর রায় (৩১), দীপক রায় (৩৩), পরিমল রায় (৩৮)। এছাড়াও অসমের শিবা চৌহান (২৬), নেপালের নওয়াজ চৌধুরী (২৬), কুশী রাম (২৫)-র দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা মুজাফ্ফর (৩৮) ও ইসরাতের (৩০)-ও দেহ উদ্ধার করা হয়েছে সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতদের পরিবারকে ১৬ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্য়ান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার নির্দেশ অনুযায়ী প্রশাসনের তরফে ১৫ লক্ষ টাকা ও অতিরিক্ত ১ লক্ষ টাকা রিলিফ ফান্ড থেকে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
রামবান পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। জেলাশাসক মসরাত-উল ইসলাম জানান, সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে ১০টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে, এরপরই মৃতদের পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হবে। সরকারের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।