ভূবনেশ্বর: পেটের জ্বালা মেটাতে স্থানীয় একটি খাবারের দোকানে ঢুকেছিলেন বছর ৪৮-র প্রসেনজিৎ পারিদা। কিন্তু খাবারের গুণমান ও দাম নিয়ে অভিযোগ জানাতেই চরম পরিণতি হল। বচসার জেরে খাবারের দোকানের মালিক ফুটন্ত তেল এনে গায়ে ঢেলে দিলেন ওই ব্যক্তির। গরম তেলে পুড়ে গিয়েছে ওই ব্যক্তির দেহের একাধিক স্থান। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার জাজপুরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসেনজিৎ পারিদা নামক ওই ব্যক্তি জাজপুরের বালিচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার সকালে তিনি বাড়ির কাছেই অবস্থিত একটি বাজারে গিয়েছিলেন। খিদে পাওয়ায় সেখানেই একটি দোকানে খাবার খেতে ঢোকেন তিনি। কিন্তু খাবার মুখে দিতেই বুঝতে পারেন তা বাসি। সঙ্গে সঙ্গে দোকানের মালিক প্রভাকর সাহুর কাছে অভিযোগ জানান। কিন্তু তিনি বিশেষ পাত্তা দেননি। এরপরে বিল মেটাতে গিয়েই দেখতে পান অতিরিক্ত চার্জ নেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফের অভিযোগ করেন এবং অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চান। এরপরই দোকানের মালিকের সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়।
আচমকাই মেজাজ হারান দোকানের মালিক। পাশেই রাখা গরম কড়াই থেকে ফুটন্ত তেল ঢেলে দেন ওই ব্যক্তির উপরে। গরম তেলে তাঁর মুখ, গলা, বুক, পেট ও হাত পুড়ে যায়। বর্তমানে ওই ব্যক্তি কটকের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি রয়েছেন। অন্যদিকে, ওই দোকান মালিকের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন।