নয়া দিল্লি: আজ, মঙ্গলবার আরজি কর মামলার শুনানিতে গুরুত্ব পাবে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন। পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে বিষয়টি ইতিমধ্যেই উল্লেখ করেছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। প্রথম থেকেই জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরানোর ক্ষেত্রে উদ্যোগী সুপ্রিম কোর্ট। তাই অনশনের ফলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে কী বলবেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়? সেদিকেই থাকবে নজর।
এদিন সিবিআই পঞ্চম স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেবে। আরজি কর খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজের বাইরে বৃহত্তর পরিসরে, এমনকী রাজ্যের বাইরেও তদন্ত ছড়াবে কি না, সেই বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত নিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট।
গত শুনানির দিন আইনজীবীদের দাবি ছিল, আরজি করের দুর্নীতি শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজে সীমাবদ্ধ নয়। রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং রাজ্যের বাইরেও বৃহত্তর চক্র যুক্ত রয়েছে।
গত শুনানির দিনই সিবিআই-এর জমা দেওয়া চতুর্থ স্টেটাস রিপোর্টের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আরজি কর ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার সঙ্গে ধারাবাহিক আর্থিক জালিয়াতির সরাসরি কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা সিবিআই তদন্ত করে দেখবে।
জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি ছিল, হাসপাতালে উচ্চপদস্থ ব্যক্তি, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাদের অবিলম্বে সাসপেন্ড করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে রাজ্য সরকার। ফলে অভিযুক্ত আধিকারিকদের অপসারণের বিষয়ে রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করেছে কি না, তা ফের শুনানিতে উঠে আসতে পারে।
ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স এর কাজ কতদূর এগিয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট এদিন জমা দেবেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নির্যাতিতার ছবি, ভিডিয়ো সরানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার আশ্বাস মতো পদক্ষেপ করেছে কি না, সেটাও দেখা হতে পারে।