INDIA Bloc: বিহার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে, কার দোষে INDIA জোটের অস্তিত্বই সঙ্কটে?
INDIA Alliance Rift: লোকসভা নির্বাচনের বছর খানেক আগে থেকে তৈরি হওয়া এই বিরোধী শিবিরে ধরেছে ফাটল। একের পর এক রাজ্যে শোচনীয় হারের পর এখন একে একে জোটে থাকা রাজনৈতিক দলগুলিও সরে যাচ্ছে। এতদিন যা জল্পনা, গুঞ্জন ছিল, এখন তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।

নয়া দিল্লি: মহা সঙ্কটে ইন্ডিয়া জোট। দু’দিন পর কি আর অস্তিত্বই থাকবে না বিরোধী জোটের? লোকসভা নির্বাচনের বছর খানেক আগে থেকে তৈরি হওয়া এই বিরোধী শিবিরে ধরেছে ফাটল। একের পর এক রাজ্যে শোচনীয় হারের পর এখন একে একে জোটে থাকা রাজনৈতিক দলগুলিও সরে যাচ্ছে। এতদিন যা জল্পনা, গুঞ্জন ছিল, এখন তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। বিশেষ করে বিহার নির্বাচনে চূড়ান্ত খারাপ ফলাফলের পর দিল্লিতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, একাধিক দল এই জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে প্রস্তুত। কোন কোন সেই দল?
জেএমএম-
বিহার নির্বাচনের আগেই ইন্ডিয়া জোটকে ধাক্কা দিয়েছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। তারা বিহারে আসন ভাগাভাগিতে রাজি হয়নি। দলের শীর্ষনেতাদের অভিযোগ, আলোচনায় তাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছিল না। আগের প্রতিশ্রুতিও রাখা হয়নি। তাই তারা জোটে লড়তে রাজি নয়। একইসঙ্গে আঞ্চলিক দলগুলিকে ছোট অংশীদার বলে গণ্য করার অভিযোগও আনা হয়।
শিবসেনা-
বিহার নির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পর শিবসেনা (ইউবিটি) বিরোধী জোটের কড়া সমালোচনা করেছে, প্রশ্ন তুলেছে ইন্ডিয়া জোটের আভ্যন্তরীণ সমন্বয় নিয়ে। বিরোধীদের ঘুম ভাঙানোর ডাক ছিল এই নির্বাচনে হার, এমনটাই বলেছে উদ্ধব ঠাকরের দল। একইসঙ্গে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে কংগ্রেস একাই সিদ্ধান্ত নেয় কোন দল কটা আসনে লড়বে। রাজ্যস্তরে আঞ্চলিক দলগুলিকে আরও বেশি গুরুত্ব না দেওয়া হলে ইন্ডিয়া জোট সফল হতে পারবে না, এমনটাই বলছে শিবসেনা (ইউবিটি)।
সমাজবাদী পার্টি-
অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি সরাসরি জোটের অন্দরে পুনর্বিবেচনা ও নির্বাচনী পরিকল্পনায় বদলের প্রয়োজন আছে বলেই জানিয়েছে। অখিলেশের কথায়, বিহারের ক্ষেত্রে যে বেনিয়ম হয়েছে, তা থেকে শিক্ষা নিতে। ভবিষ্যতে কোনও নির্বাচনে কংগ্রেসের নাক গলানো বা হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। তাঁর দাবি, ইন্ডিয়া জোটে আঞ্চলিক দল, বিশেষ করে যাদের নিজেদের রাজ্যে ভাল প্রভাব বা ক্ষমতা আছে, তাদের সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হোক।
আম আদমি পার্টি-
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই আম আদমি পার্টি ইন্ডিয়া জোট থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করেছিল। বিহার নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই তারা জানিয়ে দিয়েছিল যে বিহারে একা লড়বে। আম আদমি পার্টি ইন্ডিয়া জোটের সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই এর কারণ হিসাবে দর্শিয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস-
ইন্ডিয়া জোট থেকে বেরিয়ে আসার কথা না বললেও, বাদল অধিবেশনে তৃণমূলকে ইন্ডিয়া জোট থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে দূরত্ব বজায় রাখতেই দেখা গিয়েছে। এসআইআরের বিরোধিতা করলেও, তাদের একযোগে সুর চড়াতে দেখা যায়নি।
