পটনা: চলতি সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তেজস্বীর ‘মধ্য প্রদেশ’ নিয়ে, পরামর্শ দিয়েছিলেন বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলার। সেই পরামর্শকে যে গুরুত্ব দিয়েই গ্রহণ করেছেন, তার প্রমাণ মিলল রবিবার। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে দেখা গেল ঘাম ঝরাতে। তবে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মতো যোগাসন বা শরীরচর্চা নয়, নিজের একসময়ের ভালবাসা ক্রিকেট খেলেই ঘাম ঝরাতে দেখা গেল তাঁকে। নিজের বাড়িরই খোলা চত্বরে ছয়-চার হাঁকাতে দেখা যায় তেজস্বীকে।
হাতে গ্লাভস-ব্যাট থাকলেও, উইকেট জোগাড় করতে পারেননি লালু-পুত্র। অগত্যা প্লাস্টিকের চেয়ারই ভরসা। তাঁর খেলার সঙ্গী কোনও রাজনৈতিক নেতা বা ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা নন, বরং বাড়ির কর্মচারীদের সঙ্গেই ক্রিকেট খেলতে ব্যস্ত ছিলেন তেজস্বী যাদব। প্রসঙ্গত, রাজনীতিতে পা রাখার আগে চুটিয়ে ক্রিকেট খেলেছেন তেজস্বী যাদব। রাজ্যস্তরের খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। ছোটবেলায় তাঁর স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। কিন্তু বাবার হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ করার পর ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নকে জলাঞ্জলী দেন তিনি।
Life or game, one should always play to win. The more you plan in head, the more you perform on field.
Pleasure to try hands on bat & ball after ages. It becomes more satisfying when driver, cook, sweeper, gardener & care takers are your playmates and keen to hit & bowl you out. pic.twitter.com/ChvK9evzi2
— Tejashwi Yadav (@yadavtejashwi) July 17, 2022
পটনার ১০ সার্কুলার রোডের বাংলোয় রবিবার সম্পূর্ণ অন্য মেজাজেই ধরা দিলেন তেজস্বী। নিজের ক্রিকেট খেলার ভিডিয়োও তিনি টুইটারে শেয়ার করেন। সঙ্গে জীবন নিয়ে এক গভীর বার্তাও দেন। টুইটের ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “জীবনই হোক বা খেলা, সবসময় জেতার জন্যই খেলা উচিত। যত নিজের মস্তিষ্কে তুমি পরিকল্পনা করবে, ততই ময়দানে ভাল খেলতে পারবে। বহু যুগ বাদে ব্যাট-বলে হাত লাগাতে পেরে অত্যন্ত খুশি। খেলা আরও মজাদার হয়ে ওঠে যখন গাড়িচালক, রাঁধুনী, সাফাইকর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীরা খেলার সঙ্গী হয় এবং তোমাকে আউট করার জন্য মরিয়া হয়ে যায়।”
উল্লেখ্য়, গত ১২ জুলাই বিহার বিধানসভার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তেজস্বী যাদবের সঙ্গে যখন তাঁর দেখা হয়, তখন আরজেডি নেতার বাড়তি ওজন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ওজন কমানোর পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। মনে করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর সেই পরামর্শকেই গ্রহণ করেছেন তেজস্বী যাদব।