Bike Rider, ED Raid: বাইক-ট্যাক্সি চালকের অ্যাকাউন্টে ৩৩১ কোটি টাকা! তদন্তে নেমে ED-র চোখ কপালে
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০২৪-এর ১৯ অগাস্ট থেকে ২০২৫-এর এপ্রিল পর্যন্ত ওই চালকের অ্যাকাউন্টে ৩৩১.৩৬ কোটি টাকা জমা হয়েছে। মাত্র ৮ মাসের ব্যবধানে একটি মাত্র অ্যাকাউন্টে এত টাকা ঢালল কে? এই সন্দেহেই ইডি তদন্ত শুরু করে। আর তদন্ত যত এগোয়, ততই রহস্যের পরত খুলতে থাকে।

বাইক-ট্যাক্সি চালকের অ্যাকাউন্টে ৩৩১.৩৬ কোটি টাকা। তদন্তে নেমে চোখ কপালে ED আধিকারিকদের। তদন্তে নেমে জানা গেল ওই টাকা গুজরাটের এক নবীন রাজনৈতিক নেতার। রাজস্থানের উদয়পুরে জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের খরচ মেটাতে ওই টাকা ব্যবহার হয়েছে। ওই নেতাকে সমন পাঠাচ্ছে ইডি।
৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশজুড়ে বেআইনি বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারির তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রায় ৩৩১ কোটি টাকার এই আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তে ইডির আধিকারিকরা এক সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম ও ঠিকানার খোঁজ পান। সেখানে পৌঁছে ইডি-র তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ওই ব্যক্তি একটি বেসরকারি সংস্থার বাইক-ট্যাক্সি চালান। সাদামাটা দু কামরার বাড়ি, নুন আনতে পান্তা ফুরায় পরিবার। ইডি-র পোড় খাওয়া তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন, এই চালকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-কে ব্যবহার করে দুর্নীতির টাকা লেনদেন হত। কিন্তু সেই চালক আদৌ সেটা জেনেই অ্যাকাউন্ট-টি ব্যবহার করতে দিয়েছেন কি না, সেটা এখনও তদন্তসাপেক্ষ। তবে এই বিপুল টাকার উৎস যে বেটিং অ্যাপ, সে বিষয়ে তদন্তকারীরা নিশ্চিত। ইতিমধ্যেই এই কেলেঙ্কারির তদন্তে সুরেশ রায়না, শিখর ধওয়ান-সহ অনেক নামীদামি সেলিব্রিটিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ED।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০২৪-এর ১৯ অগাস্ট থেকে ২০২৫-এর এপ্রিল পর্যন্ত ওই চালকের অ্যাকাউন্টে ৩৩১.৩৬ কোটি টাকা জমা হয়েছে। মাত্র ৮ মাসের ব্যবধানে একটি মাত্র অ্যাকাউন্টে এত টাকা ঢালল কে? এই সন্দেহেই ইডি তদন্ত শুরু করে। আর তদন্ত যত এগোয়, ততই রহস্যের পরত খুলতে থাকে। ইডি জানতে পারে, ওই চালকের অ্যাকাউন্ট-কে ব্যবহার করে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা ঢেলেছে গুজরাটের এক নবীন রাজনৈতিক নেতা। ৩৩১ কোটির মধ্যে এক কোটি টাকা রাজস্থানের উদয়পুরে এক জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে খরচ করা হয়েছে। হ্রদের ধারে এক নামী হোটেলে ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’-এ ওই টাকা ব্যয় হয়েছে। যদিও বাইক-ট্যাক্সি চালক দাবি করেছেন, তিনি এই বিয়ের বিষয়ে বিন্দু বিসর্গও জানেন না। এমনকী তাঁর অ্যাকাউন্টে কে এত টাকা রেখেছে, সেটাও নাকি তিনি জানেন না। পরিবারের পেট চালাতে দৈনিক ৮ ঘণ্টা তিনি বাইক চালান বলেও দাবি করেছেন তদন্তকারীদের কাছে।
