সন্ত রামানুজের ১০০০ তম জন্মবর্ষ উদযাপনের আমন্ত্রণ এ বার পৌঁছে গেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিদ্যুষবার রামানুচার্য সংগঠনের প্রধান ত্রিডান্ডি চিন্না জিয়ার স্বামী সঙ্ঘ সঞ্চালকের কাছে পৌঁছে তাঁকে আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে চলা সহস্রাব্দী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান। স্বামীজির সঙ্গে হাজির ছিলেন শ্রীনিবাস রামানুজ এবং মাই হোম গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. জে রামেশ্বর রাও। একই সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-কে ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চিন্না জিয়ার স্বামী। সূত্রের খবর, তাঁরাও সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
শ্রীমদ ভগবান রামানুজের মূর্তি উদ্বোধনের অনুষ্ঠান ২০২২ সালের ২ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই উপলক্ষে শ্রী ত্রিদান্ডি চিন্না জিয়ার স্বামী ব্যক্তিগতভাবে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ প্রধান বিচারপতি রামানাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এবার সঙ্ঘ প্রধান এবং প্রতিরক্ষমন্ত্রীও আমন্ত্রণ পেলেন।
পদ্মফুলের উপর উপবিষ্ট অবস্থায় রামানুজের ২১৬ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট পঞ্চধাতুর মূর্তি বিশ্বের বিরলতম সৃষ্টি। মূর্তির চারপাশে নির্মিত ১০৮ টি মন্দির কালো পাথরে খোদাই করা হয়েছে এবং রাজস্থানে তৈরি হওয়া এর স্তম্ভগুলি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিস্ময়। শ্রীমদ ভগবান রামানুজ হলেন সেই ধর্মগুরু যিনি সাম্যের কথা বলেছিলেন। এই মুহূর্তের জন্য গোটা বিশ্ব অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল, এবং সেই অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। সন্ত অন্নমাচার্য যাঁকে শ্রেষ্ঠ গুরু বলে সম্বোধন করেছিলেন, সেই গুরু শ্রী রামানুজের দর্শন পাওয়ার সময় হতে চলেছে।
অনুষ্ঠানের দিন হাজারের অধীক কুণ্ডে লোককল্যাণের জন্য লক্ষ্মী নারায়ণ যজ্ঞের আয়োজন করা হবে। মোট ১ হাজার ৩৫ টি হোমকুণ্ড তৈরি করা হবে এবং প্রায় ২ লক্ষ কেজি গরুর ঘি ব্যবহার করা হবে যজ্ঞের কাজে। মুচিন্তালের এই আশ্রম দিব্য সাকেতাম শীঘ্রই বিশ্ববিখ্যাত আধ্যাত্মিক স্থান হিসেবে জনপ্রিয় হবে হবে মনে করা হচ্ছে।
রামানুজ তাঁর ১২০ বছরের জীবনকালের বেশিরভাগ সময়টাই বিশিষ্টদ্বৈতের হিন্দু দর্শন প্রচারের জন্য ব্যয় করেছিলেন। রামানুজাচার্যই জাতি, বর্ণ এবং ধর্মের নামে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেন এবং প্রস্তাব করেন যে সবার মধ্যেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বিরাজমান। এ জন্যই এই বিশালাকার নামকরণ করা হয়েছে ‘স্ট্যাচু অফ ইকুয়্যালিটি।’