Rashtriya Swayamsevak Sangh: দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছবে RSS, ‘বিশেষ সময়ে’ প্রান্তিক ভারতই লক্ষ্য সঙ্ঘ পরিবারের
Rashtriya Swayamsevak Sangh: সঙ্ঘ পরিবারের শতর্বর্ষ ঘিরে আয়োজন একেবারে তুঙ্গে। কোথায়, কতটা মননিবেশ প্রয়োজন, কোন স্তরে এখনও পৌঁছতে পারেনি আরএসএস, প্রান্তিক স্তরেই বা কী হাল, সবটা নিয়েই আলোচনা হয় ওই বৈঠকে।

দিল্লি: শতবর্ষে আরও ‘যত্নশীল’ আরএসএস বা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। এই ‘বিশেষ সময়ে’ দিয়েছে নতুন মাইলফলক ছোঁয়ার বার্তাও। সম্প্রতি দিল্লিতে তিনদিনের জন্য প্রান্ত প্রচারক বৈঠকের আয়োজন করেছিল সঙ্ঘ পরিবার। ৪ঠা জুলাই থেকে টানা তিন দিন চলে এই বৈঠক। শেষ হয় ৬ জুলাই, রবিবার। এর ঠিক পরদিন অর্থাৎ সোমবার বৈঠক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অখিল ভারতীয় প্রচারক প্রমুখ সুনীল আম্বেদকর।
সঙ্ঘ পরিবারের শতর্বর্ষ ঘিরে আয়োজন একেবারে তুঙ্গে। কোথায়, কতটা মননিবেশ প্রয়োজন, কোন স্তরে এখনও পৌঁছতে পারেনি আরএসএস, প্রান্তিক স্তরেই বা কী হাল, সবটা নিয়েই আলোচনা হয় ওই বৈঠকে।

এদিন সুনীল আম্বেদকর জানিয়েছেন, ‘সমাজের সব স্তরে সঙ্ঘের প্রচারকে পৌঁছে দেওয়াই একমাত্র লক্ষ্য। সেই উদ্দেশ্যে সাধনে শতবর্ষে প্রান্তিক এলাকা, এমনকি শহরের বস্তিগুলোতেও একাধিক হিন্দু সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। যেখানে সামাজিক নীতি থেকে ঐক্য, এমনকি পঞ্চ পরিবর্তনের মতো একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন সঙ্ঘের প্রচারকরা।’
তাঁর সংযোজন, ‘১১ হাজার ৩৬০টি ব্লকে সামাজিক ঐক্য বিস্তারের জন্য বেশ কয়েকটি সামাজিক সদ্ভাব বৈঠকেরও আয়োজন করা হবে। এছাড়াও দেশের ৯২৪টি জেলায় প্রমুখ নাগরিক সম্মেলনেরও আয়োজন করবে সঙ্ঘ।’
কিন্তু এত আয়োজনের নেপথ্যে আসল লক্ষ্যটা কী? সেই কথাটাও জানিয়েছেন সুনীলবাবু। এদিন তিনি বলেন, দেশের ঘরে ঘরে সঙ্ঘের বার্তা পৌঁছে দেওয়াই শতবর্ষে সঙ্ঘের মূল উদ্দেশ্য। মণিপুরের অবস্থা নিয়ে মানুষের যে সচেতন হওয়া প্রয়োজন, সেই কথাটাও উঠে আসে তাঁর মুখে। তিনি বলেন, ‘শতবর্ষে আয়োজিত বৈঠকগুলিতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। যার মধ্যে মণিপুরের ঘটনাটিও রয়েছে। মানুষের মনে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়াই কাম্য।’

