Independence Day: স্বাধীন প্রাণবন্ত জাতি গড়তে কী প্রয়োজন? স্বাধীনতা দিবসে জানালেন সদগুরু
Sadhguru: যত দিন যাচ্ছে যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি থেকে শুরু করে গভীরতর রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা, ধর্ম, জাতি ও আঞ্চলিক পরিচয় সংক্রান্ত দেশীয় সমস্যা থেকে শুরু করে তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলা মানসিক স্বাস্থ্যের সংকট এই সব চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

সারা ভারত জুড়ে পালিত হচ্ছে ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস। এই শুভ মুহূর্ত যেন কেবল স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের নয়, বরং বদলের। এই সময় কেবল উদারীকরণের নয়, প্রকৃত মুক্তির। এমনটাই দাবি সদগুরুর।
যত দিন যাচ্ছে যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি থেকে শুরু করে গভীরতর রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা, ধর্ম, জাতি ও আঞ্চলিক পরিচয় সংক্রান্ত দেশীয় সমস্যা থেকে শুরু করে তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলা মানসিক স্বাস্থ্যের সংকট এই সব চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে তা যেন দেশের বৃদ্ধিতে সমস্যা হয়ে না দাঁড়ায়।
মনে রাখতে হবে চ্যালেঞ্জ কখনও পশ্চাদপসরণ নয়, বরং তা উন্নতির জ্বালানি। সময় এসেছে শুধু উদারীকরণের নয়, প্রকৃত মুক্তির। এখন প্রয়োজন সাহসী, আত্মবিশ্বাসী ও অভিযাত্রী মনোভাবের। এসেছে শিক্ষা, শিল্প, প্রযুক্তিকে সরকারি নিয়ন্ত্রণের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার, যাতে ব্যক্তিগত উদ্যোগ বিকশিত হতে পারে এবং মানব মেধার শক্তি ভেঙে ফেলতে পারে সব কাঁচের দেওয়াল।
সদগুরু আরও বলেন, “যদি আমরা চাই শক্তিশালী বেসরকারি খাত এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো আমাদের গুরুত্ব দিক, তবে ব্যবসা-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা জরুরি। মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে জাতি-গঠনের কাজে সরাসরি অংশ নিতে।”
As India celebrates its 79th year of independence, the vibrancy in the air is undeniable, and the optimism and growing self-assurance are palpable. The time has come not merely to liberalize, but liberate. What we now need is a burst of free enterprise – bold, confident and… pic.twitter.com/VC4T2KC2sO
— Sadhguru (@SadhguruJV) August 15, 2025
তাঁর মতে মানুষ যখন বড় স্বপ্ন দেখে, নিজের জীবন গড়ে তোলার পাশাপাশি জাতি গড়ার চেষ্টা করে। কিছু অস্থিরতা আসবেই, কিছু নিয়ম ভাঙা হতে পারে, কিছু সেকেলে আইন ভাঙতে হতে পারে। এর জন্য জরাজীর্ণ আমলাতান্ত্রিক কাঠামো ও পুরোনো করব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতেই হবে। আমাদের কিছু মৌলিক নিয়ম ঠিক করতে হবে। তিনি বলেন, “নিস্তেজ লাল ফিতের ফাঁসে যেন নবীন উদ্ভাবন শ্বাসরুদ্ধ না হয়। একমাত্র এভাবেই আমরা একটি স্বাধীন ও প্রাণবন্ত জাতি গড়তে পারি।”
সদগুরু জানান, তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের অন্যতম মূল শক্তি। আমরা দ্রুত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ক্ষেত্রে উন্নতি করছি। কোনও বাইরের স্বার্থান্বেষী শক্তি যেন এই অগ্রগতি থামাতে না পারে। যেহেতু AI ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল শক্তিশালী অবকাঠামোসমৃদ্ধ ডেটা সেন্টারের উপর—যেখানে উন্নত কম্পিউটিং হার্ডওয়্যার, স্টোরেজ ও নেটওয়ার্কিং দরকার—তাই কার্যকর বিদ্যুৎ গ্রিডে বিনিয়োগ শুরু করাটা জরুরি। কেবল রাজ্যের বিদ্যুৎ বরাদ্দের উপর নির্ভর করা যাবে না। ছোট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (Small Modular Reactors) কিনে আমরা ক্রমবর্ধমান শক্তি চাহিদা পূরণ করতে পারি।
শিক্ষা যদি মানুষকে পরিবর্তন না করে, তবে তা অর্থহীন। তরুণ প্রজন্মকে ছোটবেলা থেকেই উদ্ভাবনী হতে উৎসাহিত করতে হবে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সময় এসেছে ভৌগোলিকভাবে সদৃশ দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার। যাতে আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রগুলির চাপের রাজনীতি প্রতিহত করা যায়। জাতির মাঝে যখন দরজা খুলে যায়, মানুষ উপকৃত হয়। আমাদের আরও দেয়াল নয়, আরও জানালা প্রয়োজন।
একটি শিশুকে বড় করতে সুরক্ষার জন্য কিছু নিয়ম ও ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই দেশ আর শিশু নয়; এটি এক অস্থির কিশোর, ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত, নতুন ধারণা, নতুন প্রতিষ্ঠান, নতুন ব্যবস্থা গড়তে আগ্রহী।
