নয়াদিল্লি: তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) নিয়ে রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছলেন ইডির আধিকারিকরা। গরু পাচার মামলার তদন্তে আগেই গ্রেফতার হয়েছিল সায়গল হোসেন। কিন্ত আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে জেরা করার সময় সায়গল তদন্তে অসহযোগিতা করছিল বলে অভিযোগ করে এরফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরটেট (Enforcement Directorate)। তাঁকে গ্রেফতার দেখিয়ে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। আসানসোল আদালত, কলকাতা হাইকোর্ট, দিল্লির PMLA আদালত হয়ে শেষ পর্যন্ত বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। যদিও সুপ্রিম কোর্ট সায়গলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এদিন ১১ টা নাগাদ ট্রেনে চেপে সায়গলকে দিল্লিতে নিয়ে আসেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।
গরুপাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সায়গল হোসেনকে জালিয়ানওয়ালানবাগ-অমৃতসর এক্সপ্রেসে করে সকাল ১১ টা ১০ মিনিটে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়। পুলিশের কড়া নজরদারিতে সায়গলকে দিল্লি আনা হয়। স্টেশন থেকে পায়ে হেঁটেই স্টেশন চত্বর থেকে বাইরে আসে সায়গল। এরপর তাঁকে গাড়িতে চাপিয়ে স্টেশন থেকে নিয়ে বেরিয়ে যান আধিকারিকরা। সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই, হাত নেড়ে বলে দিলেন কোনও উত্তর দেবেন না।
ইডি আধিকারিকরা সায়গলকে দিল্লিতে টানা সাত দিন নিজেদের হেফাজতে রেখে জেরা করবে। গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফাতর অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ইডির চোখা চোখা প্রশ্নর মুখোমুখি হতে হবে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানে আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন তিনি। এদিকে তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের থেকেও বেশ কিছু তথ্যও খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছেন ইডির আধিকারিকরা। এমন পরিস্থিতিতে সায়গল হোসেনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ইডি আগামী দিনে কোনও নতুন তথ্য হাতে পায় কি না, সেই দিকেই নজর সকলের।
তবে আজ তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে কি না, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। কোর্টে পেশ করার পরেই সায়গলকে টানা সাত দিন সেহগলকে ইডি জেরা করবে। প্রতিদিন বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১২টা এবং দুপুর ৩টে থেকে ৪টে পর্যন্ত, দুই রাউন্ডে জেরা হবে। এমনি নির্দেশ রয়েছে দিল্লি হাইকোর্টের।