মিরজ়াপুর: ‘স্কাই ইস দ্য লিমিট’। এটা শুধু প্রবাদ বাক্য নয় সানিয়ার কাছে। মনে প্রাণে এই উক্তিটিই বিশ্বাস করে সানিয়া মির্জা (Sania Mirza)। না, ভারতীয় টেনিস খেলোয়াড় সানিয়ার মির্জার কথা বলছি না। এই সানিয়া উত্তর প্রদেশের মিরজাপুরের বাসিন্দা। বাবা সামান্য টিভি সাড়াইয়ের কাজ করেন। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) শহরে বেড়ে ওঠা এই যুবতীই দেশের প্রথম মুসলিম মহিলা ফাইটার পাইলট (First Muslim Woman Figter Pilot) হওয়ার পথে। আর যেদিন ফাইটের জেটের চালকের আসনে তিনি বসবেন. সেদিন তাঁর হাতের মুঠোয় আসবে সেই খোলা আকাশ। যে আকাশ দেখেই দেশের ফাইটার জেটের পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু। যা পাওয়ার আশায় দিনরাত এক করে দিয়েছেন সানিয়া।
ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির (NDA) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন সানিয়া মির্জা। এই পরীক্ষায় ১৪৯ ব়্যাঙ্ক করেছেন তিনি। মিরজাপুরের বাসিন্দা সানিয়া জানিয়েছেন, তাঁর অনুপ্রেরণা হল ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অবনী চতুর্বেদী। তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, “আমি অবনী চতুর্বেদীকে দেখে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছি। আর তাঁকে দেখেই আমি এনডিএ-তে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আমি আশা রাখি নব প্রজন্ম একদিন আমায় দেখে অনুপ্রাণিত হবে।”
প্রসঙ্গত, এনডিএ-তে মহিলাদের জন্য ১৯ টি আসন সংরক্ষিত থাকে। সেখানে তিনি দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী। ভারতের প্রথম মহিলা ফাইটার হয়ে ইতিহাস গড়েছেন অবনী চতুর্বেদী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভাবনা কান্ত, মোহনা সিংও। এবার প্রথম মুসলিম ফাইটার জেটের পাইলট হিসেবে ইতিহাস গড়তে চলেছেন সানিয়া মির্জা।
মিরজাপুরের দেহাত কোতওয়ালি পুলিশ স্টেশন এলাকার জসোবর নামের একটি ছোট্ট গ্রামে বেড়ে ওঠা সানিয়ার। বাবা টিভি সাড়াইয়ের কাজ করেন। তাঁর গ্রামেরই এক স্কুল থেকে পড়াশোনা। পন্ডিত চিন্তামণি দুবে ইন্টার কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি। দশম শ্রেণির পর তিনি মিরজাপুর সিটিতে গুরু নানক গার্লস কলেজে ভর্তি হন। দ্বাদশ শ্রেণিতে তিনি নিজের জেলায় উত্তর প্রদেশের বোর্ড থেকে টপারও হয়েছেন। এবার পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে নিজের স্বপ্নের উড়ানে বসতে চলেছেন সানিয়া মির্জা। আগামী ২৭ ডিসেম্বর তিনি মহারাষ্ট্রের পুনে জেলার খাদাকোয়াসলাতে এনডিএ-তে যোগ দেবেন।