মুম্বই : আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে রবিবার সাতসকালে মুম্বইয়ে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই জানা যায়, তাঁকে আটক করা হয়েছে। আর কিছু সময় পরেই ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব উসকে দেন শিবসেনা সাংসদ। সঞ্জয় রাউতের দাবি, শিবসেনা এবং মহারাষ্ট্রকে দুর্বল করার জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে। ইডির হাতে আটক হওয়ার পর বলেন, “ঝুকেগা নেহি”। ইডি অফিসের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, “মহারাষ্ট্রকে দুর্বল করার এই চক্রান্ত সফল হবে না। আমি মাথা নত করব না। দলও ছাড়ব না।”
বিষয়টি নিয়ে একটি টুইটও করেছেন মহারাষ্ট্রের সাংসদ। লিখেছেন, “যে কখনও হাল ছাড়ে না, যে কখনও মাথা নত করে না, তাঁকে আপনি কখনও হারাতে পারবেন না। জয় মহারাষ্ট্র।” পাশাপাশি শিন্ডে শিবিরকেও একহাত নিয়েছেন সঞ্জয় রাউত। বলেছেন, “মহারাষ্ট্র দুর্বল হচ্ছে। যান আপনারা এবার মিষ্টি বিলি করুন।” এদিকে সঞ্জয় রাউতের ভাই সুনীলও দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে অসহযোগিতার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভুল। বলেন, “আমরা তাদের (ইডি অফিসারদের) ঘরের প্রতিটি কোণায় যেতে দিয়েছি। অসহযোগিতার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
রবিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা যখন সঞ্জয় রাউতকে আটক করে ইডি অফিসে নিয়ে আসেন, তখন ইডি অফিসের বাইরে শিবসেনা সাংসদ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “ওঁরা (ইডি আধিকারিকরা) আমাক গ্রেফতার করবে। কিন্তু আমি গ্রেফতার হব না।”
প্রসঙ্গত ইডির তরফ থেকে একাধিকবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে। ২০ জুলাই এবং ২৭ জুলাই ডাকা হয়েছিল। কিন্তু ইডি অফিসে হাজিরা দেননি শিবসেনা সাংসদ। জানিয়েছিলেন সংসদের বাদল অধিবেশন থাকার জন্য তিনি উপস্থিত থাকতে পারছেন না। ইডির অফিসে গিয়ে হাজিরা দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে নিয়েছিলেন সঞ্জয় রাউত। আর এরই মধ্যে রবিরার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে রাউতের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন ইডি অফিসাররা।