School Girl: প্রজাতন্ত্র দিবস পালনে স্কুলে যাচ্ছিল, নাবালিকা ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ
Bihar: অপহরণ করে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় নির্জন জায়গায়। সেখানে ওই নাবালিকা ছাত্রীকে অভিযুক্তরা পালা করে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক ঘণ্টা ধরে ওই নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালান অভিযুক্তরা।
বক্সার: দেশের অধিকাংশ সরকারি স্কুলেই হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হাজির হয় স্কুলের পড়ুয়ারা। সে রকমই ২৬ জানুয়ারির দিন সকালে স্কুলে যাচ্ছিল এক নাবালিকা ছাত্রী। কিন্তু যাওয়ার পথেই ঘটল বিপত্তি। তিন যুবক ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। অপহরণ করে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় নির্জন জায়গায়। সেখানে ওই নাবালিকা ছাত্রীকে অভিযুক্তরা পালা করে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক ঘণ্টা ধরে ওই নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালান অভিযুক্তরা। তার পর তাকে ফেলে পালিয়ে যান। এর জেরে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে আর অংশ নেওয়া হয়নি ওই ছাত্রীর। অত্যাচার শিকার হয়ে কোনও মতে বাড়ি ফিরে আসে সে। এসে গোটা ঘটনার কথা জানায় বাড়ির লোককে। তার পর পরিবারের লোকেরা তাকে নিয়ে যায় থানায়। সেখানে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বক্সার জেলায়।
স্কুলে যাওয়ার পথে নাবালিকা ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রী এর পর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গণধর্ষণের অভিযোগ পেয়েই শীঘ্র পদক্ষেপ করে পুলিশ। গণধর্ষণে অভিযুক্ত তিন ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষাও করানো হয়েছে। সেই রিপোর্টে গণধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনা নিয়ে বক্সারের পুলিশ সুপার মণীশ কুমার বলেছেন, “আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরই তিন জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে।” ওই নির্যাতিতার বাড়ডি সিরকোল থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে বলেও জানিয়েছেন ওই পুলিশ অফিসার। তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারা এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।