নয়া দিল্লি: গবেষণাগার থেকে বেরিয়ে বিজ্ঞান যখন মাটিতে নেমে আসে, সাধারণ মানুষের নৈমিত্তিক অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়, তখনই কোনও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার মহান সাফল্যে পরিণত হয়। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি), ১০৮তম ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের উদ্বোধন করে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মহারাষ্ট্রের নাগপুরে রাষ্ট্রসন্ত তুকাদোজি মহারাজ নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (RTMNU) অমরাবতী রোড ক্যাম্পাসে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এইবারের সমাবেশের থিম হল “মহিলাদের ক্ষমতায়নের এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি”। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টাগুলি তখনই মহান সাফল্যে পরিণত হয় যখন তাদের প্রভাব বৈশ্বিক থেকে তৃণমূল স্তরে পৌঁছয়, যখন এর পরিধি জার্নাল থেকে দৈনন্দিন জীবনে নেমে আসে এবং যখন পরিবর্তনগুলি সাধারণ মানুষের চোখে পড়ে।”
ভারতের উন্নয়নে আগামী ২৫ বছরে বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় বড় ভূমিকা নিতে চলেছে বলে জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানান, বৈজ্ঞানিক মহল এখন জাতীয় পরিষেবার মেজাজে কাজ করে চলেছে। তিনি আরও জানান, ২০১৫ সালে গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সে ৮১তম স্থানে ছিল ভারত। ২০২২-এ এই তালিকায় ভারত উঠে এসেছে ৪০তম স্থানে। পিএইচডি এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে ভারত এখন বিশ্বের প্রধান তিনটি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, বিজ্ঞান গবেষণাগারের তার দেওয়াল ছেড়ে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে চলে আসলে, বিজ্ঞান যুবদের উদ্বুদ্ধ করত পারে। এই যুবদের সহায়তার জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
কোভিড-১৯-এর মতো রোগ প্রতিরোধ এবং মোকাবিলায় বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের ভূমিকার গুরুত্বের উপরও জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। টিকা বিকাশের গবেষণাকে উৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। উপযুক্ত সময়ে মহামারি রোগ নির্ণয়ে একটি সামগ্রিক ব্যবস্থা গঠনের কথাও বলেছেন তিনি। একইসঙ্গে মহাকাশ ক্ষেত্রে ভারতের উন্নয়নে অল্প খরচে উপগ্রহ এবং মহাকাশযান উৎক্ষেপণের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি জানান, মহাকাশ ক্ষেত্রে ভারতের পরিষেবা চাইছে গোটা বিশ্ব।