নয়া দিল্লি: আরজি কর কাণ্ডের পর হাসপাতালে নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবিতে সরব হন চিকিৎসকরা। এই বিষয়ে বে কিছু নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টও। আর এবার আরজি করের সেই ঘটনার জেরে আমুল বদলে গেল দিল্লির এইমস হাসপাতালে নিরাপত্তা।
হাসপাতালের ওয়ার্ডে ডিউটিরত রেসিডেন্ট ডাক্তারদের জন্য সেখানে নির্দিষ্ট ঘর ছিল আগে থেকেই। কিন্তু সেই ঘরের ব্যবস্থাপনা দেশের যে কোনও প্রান্তের হাসপাতালের কাছে মডেল হিসেবে সামনে আসতে পারে এবার। নাইট ডিউটির সময় বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ভিতরে রাখা হয়েছে চার থেকে পাঁচটি বেড। আছে আলাদা রান্নাঘর এবং বিশ্রামের জায়গা।
ওয়ার্ডে কোনও সময় হাসপাতালের বৈধ কাগজ ছাড়া ভিতরে প্রবেশ সম্ভব নয়। যৌন হেনস্থা সম্পর্কে অবগত করার জন্য প্রত্যেক ওয়ার্ডে লাগানো হয়েছে তথ্য সম্বলিত নোটিস বোর্ড। শিশু বিভাগ ও স্ত্রীরোগ বিভাগে পুরুষদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ডাক্তার, নার্স ছাড়া হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত সব কর্মচারী, আধিকারিককেই আই কার্ড স্ক্যান করে ভিতরে প্রবেশ করতে হবে। প্রত্যেক দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকছেন প্রশিক্ষিত বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী।
রাতে এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে বা হস্টেলে যাতায়াতের জন্য চালু হয়েছে হাসপাতালের নিজস্ব ব্যাটারি চালিত শাটল সার্ভিস। পাশাপাশি সমগ্র ক্যাম্পাসকে সিসিটিভি নজরদারিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষী, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য শুরু হয়েছে ডিজিটাল হাজিরার ব্যবস্থা। এইমস হাসপাতালে ডিরেক্টর ডাক্তার এম শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ নিশ্ছিদ্র করতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করার হচ্ছে।