Manik Bhattacharya: শাহরুখের ছেলে, জয়ললিতার মামলা লড়েছেন, সেই রোহাতগিই এখন মানিকের শেষ ভরসা
Manik Bhattacharya: একেকটি মামলায় কোটি টাকা পর্যন্তও চার্জ নিয়ে থাকেন রোহাতগি। তবে বিরোধীদের দাবি, মানিকের মামলা অত্যন্ত জটিল।
নয়া দিল্লি : নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন একের পর এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রাক্তন মন্ত্রী ছাড়াও ধরা পড়েছেন একাধিক প্রাক্তন কর্তা। আর এবার সেই তালিকায় মানিক ভট্টাচার্য। প্রশ্ন হল, নিয়োগ মামলায় মানিকের ভূমিকা ঠিক কতটা? কেলেঙ্কারির কারবার সত্যিই কি তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ছিল? সে সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবে ইডি। তবে, সুপ্রিম কোর্টে মানিকের পক্ষে যে আইনজীবী সওয়াল করছেন, তাঁর নামই বলে দিচ্ছে মামলাটা কতটা হাই-প্রোফাইল।
শীর্ষ আদালতে মানিকের পক্ষে আবেদন করেছেন আইনজীবী মুকুল রোহাতগি। তিনি যে শুধুমাত্র প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল তাই নন, বিভিন্ন সময়ে দেশের একাধিক হাই প্রোফাইল মামলা লড়েছেন তিনি। তিনি একেকটি মামলায় চার্জ হিসেবে কোটি টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন। সেই আইনজীবীরই দ্বারস্থ হয়েছেন মানিক। হাইকোর্টের নির্দেশের পর রোহতাগির সওয়ালেই রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন মানিক। আর গ্রেফতারি থেকে অব্যাহতি পেতেও সেই বিশিষ্ট আইনজীবীর ওপরই ভরসা রাখছেন মানিক।
হাইকোর্ট যখন মানিককে গ্রেফতার করার অনুমতি দেয়, তখনই সিবিআই-এর হাত থেকে বাঁচতে মুকুল রোহাতগির কাছে ছুটে যান মানিক। রোহাতগি দেশের অন্যতম ‘দামি’ আইনজীবীও বটে। শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের মামলা বা বিচারক লোয়ার মৃত্যু মামলা, সবেতে ভরসা রোহাতগির। জানা যায়, বিচারক লোয়ার মৃত্যু মামলায় চার্জ হিসেবে ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন রোহাতগি। তাঁর মক্কেলদের তালিকায় ছিলেন জয়ললিতাও। আর সেই রোহাতগিই এবার মানিকের ভরসা। আদালত সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে মানিককে রক্ষাকবচ দেওয়ার পর ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক। এরপর ফের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মানিক। রক্ষাকবচ পরিধি কতটা? সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এত টাকা খরচ করে মামলা করা সত্ত্বেও গ্রেফতার হতে হয়েছে মানিককে। এই প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেও কোনও লাভ হল না। কারণ কেস তাই এতই জটিল। অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, যেখানে কোটি কোটি টাকা লুঠ হচ্ছে, সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা আর এমন কী?
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মানিক এই মামলায় আর কোনও পার্শ্ব চরিত্র নন, তদন্তকারী সংস্থাগুলির জন্য ক্রমশ মানিক হয়ে উঠছেন মুখ্য চরিত্র। একদিকে পার্থর সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের প্রমাণ সামনে এসেছে। অন্যদিকে, গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন টেটের ইন্টারভিউ-র নম্বর না বসিয়ে সাতা পাতায় সই করার নির্দেশ দিতেন তিনি। এই সব অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।