Maoist: বছরের পর বছর পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে একটা সেলফিই প্রাণ নিল শীর্ষ মাওবাদী নেতার

Jan 22, 2025 | 10:31 PM

Maoist: ২০০৮ সালে ওড়িশার নয়াগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলায় মাস্টারমাইন্ড ছিলেন চলাপতি। ওই হামলায় ১৩ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের পর বছর নিরাপত্তা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু, স্ত্রীর সঙ্গে তোলা চলাপতির একটি সেলফিই নিরাপত্তা বাহিনীকে সাহায্য করল শীর্ষ এই মাওবাদী নেতাকে খুঁজে পেতে।

Maoist: বছরের পর বছর পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে একটা সেলফিই প্রাণ নিল শীর্ষ মাওবাদী নেতার
এই সেলফিই প্রাণ নিল শীর্ষ মাওবাদী নেতার

Follow Us

বাস্তার: বাস্তারের জঙ্গল তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা। বছরের পর বছর তাঁর খোঁজ চালিয়ে গিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু, টিকিও খুঁজে পায়নি। তাঁর মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। শেষপর্যন্ত একটা সেলফিই খোঁজ দিল শীর্ষ মাওবাদী নেতা জয়রাম রেড্ডি ওরফে চলাপতির। স্ত্রীর সঙ্গে তোলা চলাপতির সেই সেলফিই শীর্ষ এই মাওবাদী নেতাকে নিকেশে কাজে লাগল নিরাপত্তা বাহিনী।

দুই দিন আগে ওড়িশা ও ছত্তীসগঢ়ের সীমানা এলাকায় অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। ওড়িশার নুয়াপদ জেলা থেকে ৫ কিমি দূরে ছত্তীসগঢ়ের কুলারিঘাট রিজার্ভ ফরেস্টে মাওবাদীদের উপস্থিতি নিয়ে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযানেই গুলির লড়াইয়ে ২০ মাওবাদীর মৃত্যু হয়। তার মধ্যে ছিলেন চলাপতি।

২০০৮ সালে ওড়িশার নয়াগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলায় মাস্টারমাইন্ড ছিলেন চলাপতি। ওই হামলায় ১৩ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের পর বছর নিরাপত্তা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু, স্ত্রীর সঙ্গে তোলা চলাপতির একটি সেলফিই নিরাপত্তা বাহিনীকে সাহায্য করল শীর্ষ এই মাওবাদী নেতাকে খুঁজে পেতে। চলাপতির স্ত্রী অরুণা ওরফে চৈতন্য ভেঙ্কট রবিও একজন মাও নেত্রী।

এই খবরটিও পড়ুন

২০১৬ সালে মে মাসে অন্ধ্রপ্রদেশে মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াইয়ের পর একটি পরিত্যক্ত স্মার্টফোন পান জওয়ানরা। সেই ফোনেই স্ত্রীর সঙ্গে চলাপতির একটি সেলফি পাওয়া যায়। ওই সেলফি দেখেই চলাপতিকে এখন কেমন দেখতে তা বুঝতে পারেন নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা।

পুলিশ জানিয়েছে, বাস্তারের জঙ্গল তাঁর কাছে পরিচিত হলেও কয়েক মাস আগে আস্তানা বদলান চলাপতি। কারণ, গত কয়েকমাসে বাস্তারে মাওবাদী দমন অভিযান বেড়েছে। ওড়িশা সীমানায় ঘাঁটি গাড়েন চলাপতি। তাঁর সঙ্গে ৮-১০ জন দেহরক্ষী থাকত। ওড়িশা সীমানাতেই ২ দিন আগে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে মৃত্যু হল চলাপতির।

 

Next Article