Andaman Earthquakes: ২৪ ঘন্টায় অন্তত ২৪ বার ভূমিকম্প! কেঁপেই চলেছে আন্দামান, উদ্বেগে বিজ্ঞানীরা

সোমবার (৪ জুলাই) থেকে আন্দামান সাগরে একের পর এক ভূমিকম্প! বারংবার কেঁপে উঠছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। নয়া দিল্লির ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বড় যে কম্পনটি ধরা পড়েছে, সেটি ছিল ৫.০ মাত্রার।

Andaman Earthquakes: ২৪ ঘন্টায় অন্তত ২৪ বার ভূমিকম্প! কেঁপেই চলেছে আন্দামান, উদ্বেগে বিজ্ঞানীরা
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 05, 2022 | 12:07 PM

পোর্ট ব্লেয়ার: সোমবার (৪ জুলাই) থেকে আন্দামান সাগরে একের পর এক ভূমিকম্প! বারংবার কেঁপে উঠছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। নয়া দিল্লির ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বড় যে কম্পনটি ধরা পড়েছে, সেটি ছিল ৫.০ মাত্রার। এই কম্পনটি হয়েছে মঙ্গলবার ভোর ৫:৫৭ মিনিটে। এখনও পর্যন্ত লাগাতার ভূমিকম্পরিখটার রে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কোনও দ্বীপেই কেউ হতাহত হননি, বা কোনও সম্পত্তির ক্ষতিও হয়নি। কিন্তু, গত ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে, রিখটার স্কেলে অন্তত ২৪টি ভূমিকম্প ধরা পড়েছে। যা, উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভূবিজ্ঞানীদের।

রিখটার স্কেলে ৫.০ মাত্রার ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারের ২১৫ কিলোমিটার পূর্ব – দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এক স্থানে। রিখটার স্কেলে ৫.০ মাত্রার ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারের ২১৫ কিলোমিটার পূর্ব – দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এক স্থানে। ভোর ৫টা ৫৭ মিনিটে হয় ওই ভূমিকম্প। এর উৎস ছিল মাটি থেকে ৪৪ কিলোমিটার গভীরে। এরপর সকাল ৮টা ৫ মিনিটে ফের একটি ভূমিকম্প হয় পোর্ট ব্লেয়ারের ১৮৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৪.৩। মাটি থেকে ৩০ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পনটির উৎস।

সেন্টার ফর সিসমোলজির মতে, সোমবার বিকেল ৫.১৮ মিনিটে প্রথম কম্পনটি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের আশেপাশের এলাকায় আঘাত হেনেছিল। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৪.৬। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে আরও কম্পন ঘটতে শুরু করে। বেশিরভাগেরই শক্তি ছিল রিখটার স্কেলে ৪.৫ মাত্রার আশপাশে।

সাধারণত, কোনও বড় ভূমিকম্পের আগে এই ধরণের ছোট ছোট ভূমিকম্প ঘটে থাকে। ভূবিজ্ঞানীরা বলেন, যখন দুটি মহাদেশীয় প্লেটের মধ্যে চাপ অত্যন্ত বেশি হয়ে যায়, তখন, কে উপরে উঠবে, আর কে নিচে নেমে যাবে, এই নিয়ে দুই প্লেটের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে। এই ঠোকাঠুকির কারণেই ছোট ছোট ভূমিকম্প হয়। তারপর যখন কোনও দুই প্লেটের মধ্যের ওই চাপ মুক্তি পায়, তখন বড় মাপের ভূমিকম্প ঘটে। তবে, একদিনেরও কম সময়ের মধ্যে এতগুলি কম্পন এর আগে দেখা যায়নি। এই বিষয়ে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, এই প্রতিষ্ঠানই দেশের ভূমিকম্পের সংক্রান্ত কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণের জন্য ভারত সরকারের একমাত্র প্রতিষ্ঠান।