নয়া দিল্লি : আগামিকাল থেকে দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকরাই কোভিড-১৯ এর প্রিকশনারি বা বুস্টার ডোজ় নিতে পারবেন। এমনটা শুক্রবারই ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে। এরপর শনিবার সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে কোভিডের বুস্টার ডোজ় দেওয়ার জন্য ১৫০ টাকা পরিষেবা কর দিতে হবে টিকা প্রাপকদের। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে কোভিডের বুস্টার ডোজ় সরকারি টিকাকরণকেন্দ্রে দেওয়া হবে না। এবং সরকার এই বিনামূল্যে এই টিকাকরণ করাবে না। তবে এর আগেই কোভিডে প্রথম সারির যোদ্ধা এবং ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের জন্য বুস্টার ডোজ় দেওয়া শুরু হয়েছিল। সরকারের তরফে বিনামূল্য়েই সেই টিকাকরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এদিকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি জানিয়েছেন যে, সরকার দরিদ্র মানুষদের উপেক্ষা করে গিয়েছে।
শুক্রবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ঘোষণা করেছে যে, দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক ১০ এপ্রিল থেকে কোভিডের বুস্টার ডোজ় নিতে পারবেন। কোভিডের দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার ৯ মাস উত্তীর্ণ হলে এই ডোজ় নেওয়া যাবে। বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে যেকোনও প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক এই টিকা নিতে পারবেন। কো-ইউন প্ল্যাটফর্মে এর জন্য আলাদা করে কোনও রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না টিকা প্রাপকদের। কেন্দ্রের তরফে এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েই কোভিশিল্ডের বুস্টার ডোজ়ের দামের ঘোষণা করেন সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সিইও আদর পুনাওয়ালা। কোভিশিল্ডের প্রতিটি বুস্টার ডোজ় ৬০০ টাকায় পাওয়া যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এর উপর বেসরকারি টিকাকরণকেন্দ্রে টিকা নেওয়ার জন্য টিকার দামের সঙ্গে আরও ১৫০ টাকা করে পরিষেবা কর দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কোভিড গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। কোভিডের এক্সই প্রজাতির জন্য নতুন করে এই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ফ্রান্স, ইতালি, চিন, আমেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোভিড পরিস্থিতি ফের উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কোভিডের এই নতুন প্রজাতিই যে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের কারণ হবে না সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই আগে থেকেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব গতকাল দেশের পাঁচটি রাজ্যকে চিঠি লিখে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করেছেন। এবং পরিস্থিতির দিকে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : Sri Lanka Ecomonic Crisis: শ্রীলঙ্কার সঙ্গে রয়েছে সাদৃশ্য, একই পরিণতি হতে পারে ভারতের বেশ কিছু রাজ্যের