পানাজি: এখনও দাপট বাকি ঘূর্ণীঝড় তাউটের (Tauktae)। তার আগেই মৃত্যুর ঘটনা। সাইক্লোনের দাপটের জেরে অন্তত আটজনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। বিপর্যয়ের ছবি একাধিক রাজ্যে। প্রভাব পড়েছে কেরল, মহারাষ্ট্র ও গোয়ায়। উপকূলের এলাকা জুড়ে বিপর্যয়ের ছবি। কোথায় রাস্তার ওপর পড়ে রয়েছে গাছ, কোথাও ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়েছে। তৎপরতার সঙ্গে কাজ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।
রবিবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ড. প্রমোদ সাবন্ত (Pramod Sawant) জানিয়েছেন সে রাজ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ঝড়ের জেরে বিদ্যুৎহীন গোয়ার একটা বড় অংশ।জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে রয়েছেন উত্তর গোয়ার বাসিন্দা এক মহিলা। তাঁর গায়ের ওপর গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে আর অপরজনের স্কুটারের ওপর বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। উপকূলবর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। গোয়ার উপকূল ছুঁয়ে গিয়েছে এই ঝড়। আর তাতেই উপড়ে গিয়েছে প্রায় শ’পাঁচেক গাছ। ছোট বড় মিলিয়ে ২০০ ঘরবাড়ি বিপর্যস্ত হয়েছে। গোয়ায় বিদ্যুত পরিষেবাও কার্যত বন্ধ। গাছ পড়ে যাওয়ায় রাস্তাঘাটে যান চলাচলও বন্ধ।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একযোগে কাজ করছে বিদ্যুৎ দফতর, দমকল, স্বরাষ্ট্র দফতর ও পূর্ত দফতর। দু’দনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভগবানের কৃপায় কোভিড হাসপাতালগুলিতে বিদ্যুত পরিষেবা ব্যহত হয়নি। মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মহারাষ্ট্রেও ঝড়ের কারণেই মৃ্ত্যু হয়েছে দুই বোনের। রবিবার বিকেলে জলগাঁওতে গাছ পড়ে মৃত্যু হয় ১৭ ও ১২ বছর বয়সী দু্ই কিশোরীর। ঝড়ের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে দক্ষিণের রাজ্যে কেরলেও। ঝড় এগিয়ে আসতে সেখানে ফুঁসতে শুরু করে সমুদ্র। শুধুমাত্র কেরলেই চারজনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। কেরলে ঝড়ের প্রভাব পড়েছে ৯৮টি গ্রামে। উত্তর কন্নড়, উদুপি, চিকমালাগুরু ও শিবামোগ্গা থেকে এসেছে মৃত্যুর খবর। এক মৎস্যজীবী নৌকা বাঁধতে গিয়ে অপর নৌকার ধাক্কায় মারা গিয়েছে, বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে উদুপিতে। এছাড়া অপর দু’জনের বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: আশার আলো! জুলাইয়ের মধ্যেই ৫১ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ়, আশ্বাস হর্ষ বর্ধনের
মৌসম ভবন জানিয়েছে আজ, সোমবার পর্যন্ত দাপট জারি থাকবে এই সাইক্লোনের। প্রবল গতিবেগ নিয়ে সেটি ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমের দিকে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই ঝড় গুজরাটের উপকূলে আছড়ে পড়বে বলে জানা যাচ্ছে।