মুম্বই: দু’ মাস হয়ে গিয়েছে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছে কংগ্রেস। সোমবার রাতেই কর্নাটক ছেড়ে মহারাষ্ট্রের প্রবেশ করেছে কংগ্রেসের এই পদযাত্রা। এই আবহেই গতকাল মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা অশোক চাভান জানিয়েছিলেন, ১১ নভেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দেবেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার ও আদিত্য ঠাকরে। তবে শেষ পর্যন্ত পওয়ার আগামিকাল এই যাত্রায় যোগ দিতে পারবেন না বলেই জানা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার শরদের এই যাত্রায় অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।
এদিন জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার কংগ্রেসের জনসংযোগ যাত্রায় যোগ দিতে পারবেন না। কংগ্রেস নেতা বলেছেন, ‘এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার হাসপাতালে ভর্তি। রাহুল গান্ধী ও আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। ডাক্তার তাঁকে ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে বলেছেন। তাই আগামিকাল ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নেবেন না তিনি।’ পওয়ার না পারলেও এই যাত্রায় আগামিকাল অংশগ্রহণ করছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে। এদিকে আজ ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন এনসিপির জয়ন্ত পাটিল, সুপ্রিয়া সুলে ও জিতেন্দ্র আওহাদ।
প্রসঙ্গত, এ বছর একাধিক নির্বাচনে লজ্জাজনক হার দেখেছে কংগ্রেসের। তারপর দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বে বিদ্ধ কংগ্রেস। এই আবহে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে জনসংযোগ করে তাঁদের ২৪-র নির্বাচনের আগে চাঙ্গা করত এবং সর্বোপরি দেশের নাগরিকদের সঙ্গে জনসংযোগের জন্য পদব্রজে বেরিয়েছেন রাহুল গান্ধী। গত ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়েছে এই যাত্রা। কন্যাকুমারী থেকে শুরু করে কাশ্মীর পর্যন্ত প্রায় ৩৫০০ কিলোমিটার এই জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়েছেন রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীরা। এর আগে কংগ্রেস একটি বিবৃতিতে দাবি করেছিল, ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও ভারতীয় রাজনীতিবিদ এত দীর্ঘ পদযাত্রা করছেন। ১৫ দিন ধরে মহারাষ্ট্রের ৫ জেলা জুড়ে ১৫ টি বিধানসভা কেন্দ্র ও ৬ টি লোকসভা কেন্দ্র দিয়ে কংগ্রেসের এই ভারত জোড়ো যাত্রা যাবে। মহারাষ্ট্রে মোট ৩৮২ কিলোমিটার অতিক্রম করবে এই যাত্রা।