Shibu Soren Passes Away: প্রয়াত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন, ছেলে হেমন্ত বললেন, “শূন্য লাগছে…”
Shibu Soren Passes Away: কিডনির সমস্যা নিয়ে দিল্লির হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন ভর্তি ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলছিল। ভেন্টিলেশনেও রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রাণরক্ষা হয়নি তাঁর।

নয়াদিল্লি: দীর্ঘদিন হাসপাতালে ‘জমে-মানুষে‘ টানাটানি। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়াইয়ে হার মেনে নিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সে রাজ্যের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান শিবু সোরেন। সোমবার বাবা মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন খোদ ছেলে তথা ঝাড়খণ্ডের বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
কিডনির সমস্যা নিয়ে দিল্লির হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন ভর্তি ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলছিল। ভেন্টিলেশনেও রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রাণরক্ষা হয়নি তাঁর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণের খবর পেয়ে শোকাহত প্রধানমন্ত্রীও। এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “শিবু সোরেন একজন তৃণমূল স্তরের নেতা। যাঁর নিষ্ঠা জনগণের প্রতি ছিল অটল। তিনি তাঁর গোটা জীবন ধরে আদিবাসী সমাজের মানুষদেরই মূলস্রোতে তুলে আনার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। তাঁর প্রয়াণে আমি দুঃখিত। ওনার পরিবার-পরিজনদের প্রতি আমার সমবেদনা।”
Shri Shibu Soren Ji was a grassroots leader who rose through the ranks of public life with unwavering dedication to the people. He was particularly passionate about empowering tribal communities, the poor and downtrodden. Pained by his passing away. My thoughts are with his…
— Narendra Modi (@narendramodi) August 4, 2025
বাবার মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোকাহত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও। এদিন বাবা মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করার পাশাপাশি, তিনি লেখেন, “শূন্য লাগছে…“। উল্লেখ্য, মৃত্যুর আগে জেএনএম প্রধানের বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। বার্ধক্যজনিত নানা অসুখেই ভুগছিলেন তিনি। গত জুনেই তাঁকে ভর্তি করানো হয় দিল্লির স্যর গঙ্গারাম হাসপাতালে। জানা যায়, কিডনির সমস্যা রীতিমতো ভুগছেন তিনি। দিন দু‘য়েক আগেই জানা যায়, শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে এবং ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।
आदरणीय दिशोम गुरुजी हम सभी को छोड़कर चले गए हैं।
आज मैं शून्य हो गया हूँ…
— Hemant Soren (@HemantSorenJMM) August 4, 2025
উল্লেখ্য়, ১৯৭২ সাল বামপন্থী শ্রমিক নেতা একে রায় ও কুর্মি নেতা বিনোদ বিহারি মাহাতোর সঙ্গে জোট বেঁধে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা গঠন করেন। পরবর্তী এই দলই হয়ে ওঠে ঝাড়খণ্ড প্রতিবাদের মুখ। যার ভিত্তিতে ২০০০ সালে মধ্য প্রদেশ, ওড়িশা ও বিহারের কিছু অংশ মিলিয়ে তৈরি হয় ঝাড়খণ্ড রাজ্য।

