মুম্বই: রাজ্যে ডামাডোল রাজনৈতিক পরিস্থিতি। তার মাঝেই আরও বিপাকে পড়েছেন সঞ্জয় রাউত। বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় শিবসেনা সাংসদকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মঙ্গলবারই ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সেই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। তবে এত সহজে পিছু ছাড়ার পাত্র নয় ইডিও। তাই নতুন করে তলব করা হল সঞ্জয় রাউতকে। আগামী ১ জুলাই মুম্বইয়ে ইডির দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, সঞ্জয় রাউত নিজেই ইডির কাছে আবেদন করেছিলেন যে তিনি এখনই হাজিরা দিতে পারবেন না। তাঁকে যেন আরও কিছুদিন সময় দেওয়া হয়। শিবসেনা সাংসদের সেই আর্জি মেনেই ইডি হাজিরার নতুন তারিখ ধার্য করেছে। বেআইনি আর্থিক তছরুপ মামলাতেই সঞ্জয় রাউতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
জানা গিয়েছে, শিবসেনা নেতার ঘনিষ্ঠ সহকারি প্রবীণ রাউত বেআইনি আর্থিক তছরুপ মামলায় অভিযুক্ত। ২০০২ সালে পত্র চউল (বস্তি) তৈরির কাজেই আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। ৬৭২টি বাড়ি তৈরির পর যে জমিটুকু ফাঁকা পড়ে থাকবে, তা বিক্রি করা যাবে। তবে যে সংস্থাকে নির্মাণের বরাদ দেওয়া হয়েছিল, তারা প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে ৯০১.৭৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। মোট ১০৩৪ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ।
এর আগে সঞ্জয় রাউতের স্ত্রীকে তলব করা হয়েছিল। ইডি ইতিমধ্যেই সঞ্জয় রাউচের স্ত্রীর নামে থাকা ১১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা ইডি সঞ্জয় রাউতের আলিবাগের আটটি জমি ও মুম্বইয়ে দাদরের একটি ফ্ল্যাট বাজেয়াপ্ত করে। প্রবীণ রাউতকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তদন্তে জানা যায়, ওই জমির দখল নেওয়ার জন্য একাধিক অপরাধও সংগঠিত হয়েছে।
এদিকে, ইডির তলব নিয়ে সম্প্রতিই মুখ খুলেছিলেন সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেছিলেন “আমাদের উপরও ইডির চাপ রয়েছে। কিন্তু আমরা উদ্ধব ঠাকরের পাশেই থাকব। আমরা সকলে বালাসাহেবের শিব সৈনিক। এটা একটা ষড়যন্ত্র। যদি আমার মুণ্ডচ্ছেদও করা হয় আমি গুয়াহাটির পথ বেছে নেব না।”