মুম্বই : মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক চাপানোতরের মাঝেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে তলব করা হয়েছে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে। আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। মহারাষ্ট্রের টালমাটাল রাজনৈতিক অবস্থার মধ্যেই কেন্দ্রীয় সংস্থার এই তলবকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে তোপ দেগেছেন শিবসেনা নেতা। এর পাশাপাশি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, মুণ্ডচ্ছেদ করলেও তিনি গুয়াহাটির পথে যাবেন না।
একনাথ শিন্ডের নেতৃত্ব একাধিক সেনা বিধায়ক গুজরাটের ব়্য়াডিসন ব্লু নামের একটি পাঁচতারা হোটেলে ঘাঁটি গেড়েছিল। ধীরে ধীরে ভিড় বেড়েছে সেই পাঁচতারায়। এদিকে চলতি উত্তেজনার মধ্যেই সঞ্জয় রাউত বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে একাধিকবার তোপ দেগেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন যাঁরা প্রকৃত শিবসৈনিক তাঁরা শত চাপের মুখেও দল ছেড়ে যান না। এখানে তিনি ‘চাপ’ বলতে ইডিকেই বুঝিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যাঁরা ইডি-র চাপের মুখে দল ছেড়ে দেন তাঁরা প্রকৃত বালাসাহেব ভক্ত নন।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমাদেরও ইডির চাপ রয়েছে। কিন্তু আমরা উদ্ধব ঠাকরের পাশেই থাকব।’ ইডির চাপের মুখে তাঁর অবস্থান যে আজও বদলায়নি তা তিনি আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন সোমবার। তিনি এদিন টুইটে জানিয়েছেন, ‘আমি জানতে পেরেছি যে ইডি আমাকে নোটিস পাঠিয়েছে। মহারাষ্ট্রে অনেক বড় বড় পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা সকলে বালাসাহেবের শিব সৈনিক। এটা একটা ষড়যন্ত্র। যদি আমার মুণ্ডচ্ছেদও করা হয় আমি গুয়াহাটির পথ বেছে নেব না।’ এই টুইটে তিনি বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফঢ়ণবীশকে ট্যাগও করেছেন। এদিন রাজ্যসভার সাংসদ ইডিকে তাঁকে গ্রেফতার করার চ্যালেঞ্জও জানিয়েছেন। এদিকে সঞ্জয় রাউতের ভাই সুনীল রাউত দাবি করেছেন, বিজেপির বিরোধী অভিযান করার জন্যই সেনা সাংসদকে ভয় দেখানোর জন্যই ইডির তরফে তলব করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের আগাড়ি সরকার অতীতেও একাধিকবার অভিযোগ করেছে যে, কেন্দ্রের বিজেপি তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার করে। বিরোধীদের ভয় দেখাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ বিরোধীদের।