নয়া দিল্লি / মুম্বই: মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) লোকসভায় শিবসেনার কার্যালয়, শিবসেনার একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীকে বরাদ্দ করল লোকসভা সচিবালয়। গত শুক্রবারই নির্বাচন কমিশন শিবসেনা দলের নাম এবং তীর-ধনুক প্রতীক বরাদ্দ করেছিল একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীকে। এবার লোকসভায় শিবসেনার কার্যালয়েরও দখল নিল শিন্ডে গোষ্ঠী। খোদ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের উপস্থিতিতে, শিবসেনা দলের লোকসভা কার্যালয়ের দখল নেন শিন্ডেপন্থী সাংসদরা। উল্লেখ্য, এদিনই একনাথ শিন্ডে শিবসেনার জাতীয় কার্যনির্বাহী বৈঠক করার কথা ঘোষণা করেছেন। শিবসেনা দলের নাম ও প্রতীক পাওয়ার পর এই প্রথম জাতীয় কার্যনির্বাহী সমিতির বৈঠক ডাকা হল। শিন্ডো গোষ্ঠীর সকল বিধায়ক, সাংসদ এবং অন্যান্য শিবসেনা নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির নিয়োগের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে এই বৈঠকে।
এই বৈঠক শিন্ডের শক্তি প্রদর্শনের বৈঠক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে শিন্ডে গোষ্ঠীকে ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছেন উদ্ধব ঠাকরে। দলের নাম ও প্রতীক হারানোর পর, শিন্ডে গোষ্ঠীকে ‘চোর’ বলতেও দ্বিধা করেননি উদ্ধব। এমনকি নির্বাচন কমিশনের বিলুপ্তি ঘটানো উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। শিন্ডে গোষ্ঠীকে শিবসেনা দলের নাম এবং প্রতীক বরাদ্দ করার বিষয়ে নির্বাচনী সংস্থার আদেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছেন তিনি। আদালত উদ্ধব ঠাকরের আবেদনের শুনানি করতে সম্মত হয়েছে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এই শুনানি হবে।
এদিকে, মহারাষ্ট্র বিধানসভাতেও শিবসেনার কার্যালয় তাঁরাই দখল করবেন বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন একনাথ শিন্ডে। অবশ্য মুম্বইয়ের শিবসেনা ভবন-সহ উদ্ধব ঠাকরের হাতে থাকা শিবসেনা দলের অন্য কোনও সম্পত্তি তাঁরা দখল করবেন না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। সোমবার শিন্ডে জানান, “আমরা যোগ্যতার ভিত্তিতে দলের নাম ও দলীয় প্রতীক পেয়েছি। বালাসাহেব ঠাকরের চিন্তাধারা আমাদের সম্পদ। আমরা অন্য কোনও সম্পত্তির দিকে নজর দিচ্ছি না। ভারতের নির্বাচন কমিশন আমাদের দলের নাম ও প্রতীক দেওয়ার পর, বিধানসভায় সেনার কার্যালয় এখন আমাদেরই, কারণ সরকারিভাবে আমরাই সেনা। আমরা ঠাকরে গোষ্ঠীর অন্য কোনও সম্পত্তিতে আগ্রহী নই।”