নয়া দিল্লি: পুলিশ হেফাজত শেষ, শ্রদ্ধা কাণ্ডে (Shraddha Walker Murder Case) প্রধান অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Ameen Poonawalla)-কে এবার পাঠানো হল বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। আগামী ৮ ডিসেম্বর অবধি তাঁকে হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। আজই তাঁকে তিহার জেলে পাঠানো হতে পারে। লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে ৩৫ টুকরো করেছিলেন অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। এরপরে সেই দেহ ১৮ দিন ধরে দিল্লির ছত্তরপুরের জঙ্গল সহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ফেলে এসেছিলেন। গত ১৮ মে শ্রদ্ধা খুন হলেও, বিষয়টি সামনে আসে চলতি মাসে। গত অক্টোবরে শ্রদ্ধার বাবা মুম্বইয়ের ভাসাইয়ে মেয়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ জানান। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। আফতাবকে জেরা করে সন্দেহ হয় দিল্লি পুলিশের। এরপরই জেরায় খুন ও দেহ ৩৫ টুকরো করার কথা স্বীকার করে নেয় আফতাব। তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও, এখনও অবধি খোঁজ মেলেনি শ্রদ্ধার কাটা মুন্ডুর।
এ দিন সকালেই আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় আম্বেদকর হাসপাতালে। সেখান থেকেই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে পেশ করা হয় আফতাবকে। দিল্লি পুলিশের তরফে আদালতে আফতাবের হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। আদালতে দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়, শ্রদ্ধা খুনের কিনারা এখনও হয়নি। বারংবার বয়ান বদল করছে আফতাব। ফলে তদন্তে বেগ পেতে হচ্ছে। অন্যদিকে, শ্রদ্ধার কাটা মুণ্ডও এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। খুনের বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য আরও জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে আফতাবকে।
পুলিশের আর্জি শোনার পর দিল্লি আদালতের তরফে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয় আফতাবকে। আজই দিল্লির তিহার জেলে স্থানান্তরিত করা হবে আফতাবকে, এমনটাই সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই আফতাবের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হয়েছে। আগামী সোমবার তাঁর নারকো অ্যানালাইসিস পরীক্ষা করা হতে পারে। দিল্লির আম্বেদকর হাসপাতালেই এই পরীক্ষা হবে বলে জানা গিয়েছে। গতকাল, শুক্রবারও আফতাবকে পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য দিল্লির রোহিনীর ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আফতাবের পলিগ্রাফ পরীক্ষার প্রি, মেইন ও পোস্ট- তিনটি ধাপই সম্পূর্ণ হয়েছে। এবার তাঁর নারকো পরীক্ষা করা হবে।