নয়া দিল্লি: লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করে তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করার অপরাধে জেলে বসে কাটছে দিন। কিন্তু কালকুঠুরিতে নিজের মনকে আটকে রাখতে চান না, সেই কারণেই পড়ছেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বই। কথা হচ্ছে আফতাব আমিন পুনাওয়ালার। প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে নৃশংসভাবে খুনের অপরাধেই আপাতত বিচারাধীন আফতাব। পুলিশ হেফাজতে তিহার জেলে দিন কাটছে তাঁর। সেখানেই সময় কাটানোর জন্য জেল কর্তৃপক্ষের কাছে বই চাইলেন আফতাব। তাঁর দাবি মেনে পছন্দসই একটি বইও দেওয়া হয়েছে, শনিবার এমনটাই জানা যায় সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে।
জানা গিয়েছে, দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনে প্রধান অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা তিহার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে ইংরেজি সাহিত্যের বই চান। জেল কর্তৃপক্ষের তরফে সেই দাবি মেনে ইংরেজি বই ‘দ্য গ্রেট রেলওয়ে বাজার: বাই ট্রেন থ্রু এশিয়া’ নামক একটি বই দেওয়া হয়েছে আফতাবকে।
এই বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আফতাবকে যে বইটি দেওয়া হয়েছে তা বিদেশি লেখক পল থেরক্সের লেখা। এই বইয়ে কোনও অপরাধের উল্লেখ নেই এবং বইয়ের বিষয়বস্তুও এমন কিছু নয়, যা পড়ে আফতাব অপর বন্দিদের ক্ষতি করতে পারে।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেলে অধিকাংশ সময়ই আফতাব দাবা খেলে কাটাচ্ছে। তাঁর বুদ্ধি যে কতটা তীক্ষ্ণ, তা দাবার চাল দেখেই বোঝা যাচ্ছে। দিনের একটা বড় সময়ই সে দাবার চাল নিয়ে চিন্তাভাবনা করে কাটায়। নিজেই নিজের প্রতিপক্ষ হিসাবেও দাবা খেলে। তাঁকে হারানো খুবই কঠিন। তাঁর সঙ্গে আরও দুইজন বন্দি থাকলেও, খুব কমই কথা বলে আফতাব। বেশিরভাগ সময় একা কাটাতেই পছন্দ করে, এমনটাই জানা গিয়েছে।
অপর একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, আফতাবের সঙ্গে যে দুইজন বন্দি রয়েছেন, তারাল দুইজনেই চুরির অপরাধে অভিযুক্ত। দুইজনকেই জেল কর্তৃপক্ষের তরফে আফতাবের উপরে সতর্ক নজর রাখতে বলা হয়েছে। এদিকে, আফতাবের এই দাবার চাল দেখেই দিল্লি পুলিশের মনে সন্দেহ আরও গাঢ় হচ্ছে। তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক বলেন, “আমাদের প্রথম থেকেই মনে হয়েছিল আফতাব অত্যন্ত ধূর্ত। তাঁর প্রত্যেকটি কথা, চালই সুপরিকল্পিত বলে মনে হয়, যেন দুইজনের তরফেই সে একা খেলছে।”