Delhi Air Pollution: স্বস্তিতে কাটল না ২দিনও, ফের ‘বিপজ্জনক’ দিল্লির বাতাস! গাড়ি ব্যবহারে কাটছাঁটের ভাবনা
Delhi Severe Air Pollution: বাইরে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখে জ্বালা শুরু হয় দিল্লিবাসীর। ধোয়াশাও এতটাই ঘন ছিল যে ২০০ মিটার দূরেও কিছু দেখা যাচ্ছিল না।
নয়া দিল্লি: দু-একদিন পরিস্থিতি একটু নিয়ন্ত্রণে এলেও, শুক্রবার ফের ভয়ঙ্কর পর্যায়েই পৌঁছল দিল্লির বায়ুদূষণ (Delhi Air Pollution)। সকালে ধোঁয়াশার চাদর পার করে সূর্য দেখাই দায় হয়ে উঠেছিল দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে (Delhi-NCR)। বেলা বাড়তেই টের পাওয়া গেল দূষণের মাত্রা। বাইরে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখে জ্বালা শুরু হয় দিল্লিবাসীর। ধোয়াশাও এতটাই ঘন ছিল যে ২০০ মিটার দূরেও কিছু দেখা যাচ্ছিল না। বিকেল ৪টে অবধি দিল্লিতে বায়ুর গুণমান(Air Quality Index) ৪৭১ -এ পৌঁছয়, যা চলতি বছরের সবথেকে দূষিত দিন। বৃহস্পতিবার বায়ুর গুণমানের মাত্রা ছিল ৪১১।
দীপাবলির পরদিন থেকেই দিল্লি ও প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে দূষণ চরম মাত্রায় পৌঁছয়। বিগত আটদিন ধরে সেই দূষণের রেশই জারি রয়েছে। বৃহস্পতিবার দীপাবলি উপলক্ষ্যে রাজধানী ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি জুড়ে যে ব্যাপক পরিমাণে বাজি পোড়ানো হয়, তার জেরেই টানা চার-পাঁচদিন ধরে বাতাসের গড় গুণমান “বিপজ্জনক” পর্যায়েই ঘোরাফেরা করছে। এছাড়াও ক্ষেতে ফসলের অবশিষ্ট অংশ পোড়ানো থেকেও ব্যাপক পরিমাণে বায়ু দূষণ হয়েছে। সকাল থেকেই ধোঁয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে গোটা দিল্লির আকাশ। বিগত ছয়দিন ধরে দিল্লির বাতাস “বিপজ্জনক” (Severe) পর্যায়েই ছিল, মাঝের দুদিনই তা কেবল “অত্যন্ত খারাপ” (Very Poor) পর্যায়ে নেমে আসে।
উল্লেখ্য, বায়ু মান সূচকের মান শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তাকে “ভাল” পর্যায়ে রাখা হয়, যা শ্বাস নেওয়ার পক্ষে ভাল। ৫১-১০০ হলে তা “মাঝারি” পর্যায়ে রাখা হয়। ১০১-১৫০ হলে তা খারাপ হিসাবেই গণ্য করা হয়। যাঁদের স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের পক্ষে এই বাতাস অস্বাস্থ্যকর বলেই গণ্য করা হয়। বায়ু মান সূচক ১৫১-২০০ হলে তাকে “অস্বাস্থ্যকর” বা “খারাপ” পর্যায়ে রাখা হয়, যা সকলের পক্ষেই অস্বাস্থ্যকর। সূচক ২০১-৩০০ হলে, তাকে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসাবে গণ্য করা হয়। ৩০১-৫০০ হলে সেই বাতাসকে বিপজ্জনক হিসাবে গণ্য করা হয়।
কেবল দিল্লিই নয়, পার্শবর্তী এলাকাগুলিতেও বাতাসের গুণমান বিপজ্জনক পর্যায়েই ছিল। এ দিন বিকেল চারটে অবধি ফরিদাবাদে বাতাসের গুণমান ছিল ৪৬০, গাজিয়াবাদে ৪৮৬, গ্রেটার নয়ডায় ৪৭৮, গুরুগ্রামে ৪৪৮ এবং নয়ডায় ৪৮৮ ছিল।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লি-এনসিআর এলাকায় পিএম ২.৫ (এক ধরনের দূষিত কণা যা ফুসফুসের ক্ষতি করে) মাত্রা ৩০০ পার করেছিল। শুক্রবার বিকেলে তার মাত্রা ছিল ৩৮১, যেখানে সুরক্ষিত মাত্রা হল প্রতি কিউবিক মিটারে ৬০ মাইক্রোগ্রাম। পিএম ১০-র মাত্রাও বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি কিউবিক মিটারে ৫৭৭ মাইক্রোগ্রামে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এদিন দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বাতাসে ধূলিকণাও বেশি মাত্রায় আটকে থাকছে এবং তা ভূপৃষ্টের কাছাকাছিই অবস্থান করছে।
ইতিমধ্যেই দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার ও বিভিন্ন সংস্থার তরফে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একদিকে, রাজ্য সরতারের তরফে যেমন প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে বারণ করা হয়েছে, অন্যদিকে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার তরফেও ওয়ার্ক ফ্রম হোম, কার পুলিংয়ের মতো নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: ‘হিন্দুত্ব’ ও ‘হিন্দু ধর্ম’ আলাদা, দাবি রাহুল গান্ধীর