নয়া দিল্লি: রাতের অন্ধকারে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল লাল ফৌজের ৩০০ সেনা। কাটাতাঁর জড়ানো লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এই ঘটনার পরই বিভিন্ন সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। আকাশপথে মহড়া দিচ্ছে বায়ুসেনা। একইমধ্যে সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর একটি খবর। জানা গেল, ভারতে ঢোকার জন্য একের পর এক ছক কষছে চিন। সূত্রের খবর, এবার ভারত-ভুটান-চিন ট্রাই জংশনের পাশে তোর্সা নালার কাছে রোপওয়ে তৈরি করে ফেলেছে চিনা সেনা।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, চিন তোর্সা নালার কাছে ভারত-ভুটান-চিন ট্রাই জংশনে রোপওয়ে তৈরি করছে চিন। ওই অঞ্চলে সড়ক ও অন্যান্য পরিকাঠামোও মজবুত করছে বলে জানা গিয়েছে। এই রোপওয়ের সাহায্যেই তাওয়াং সেক্টরের উপরে নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে লাল ফৌজের। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, তাওয়াং সেক্টরে বিগত কয়েক বছর ধরেই নজরদারি বাড়িয়েছে চিন। তাদের ক্ষোভের অন্য়তম কারণ, তাওয়াং অঞ্চল ভারতের দখলে। এই অঞ্চল থেকে গোটা উত্তর-পূর্বের উপরে নজরদারি চালাতে পারে ভারত।
তাওয়াং থেকে ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত ইয়াৎসে অঞ্চল ১৭ হাজার ফিট উঁচুতে অবস্থিত। রোপওয়ে পথে সেখানে নজরদারি চালানো চিনা সেনার পক্ষে সহজ হবে বলেই জল্পনা। সেই কারণেই তোর্সা নালার উপর এই রোপওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। উপগ্রহ চিত্রেও ধরা পড়েছে সেই ছবি। সূত্রের খবর, তাওয়াংয়ে সংঘর্ষের অনেক আগেই এই রোপওয়ে তৈরি করতে শুরু করেছিল লালফৌজ।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে আরও খবর, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরের ইয়াংসে এলাকার চারটি মূল পয়েন্ট থেকে পিপলস লিবারেশন আর্মি ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, ডোকালামের কাছে ফের একবার চিনা সৈনিকদের দেখা গিয়েছে। গোটা পূর্ব ভারত সীমান্ত লাগোয়া এলাকাতেই চিনা সেনার তৎপরতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। গত কয়েকমাসে একাধিকবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পার করার চেষ্টা চালিয়েছে তারা। যদিও সেনাবাহিনীর তরফে ডোকলামে চিনের গতিবিধির কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
অন্য়দিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফেও বিগত কয়েক বছরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সড়ক ও পরিকাঠামোর উন্নয়ন করেছে। বিশেষত ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পর।