নয়াদিল্লি: ভারতের বিভিন্ন জঙ্গলে চিতার সংখ্যা বাড়াতে আগেই উদ্যোগী হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সছর ই উদ্যোগের অংশ হিসাবে গত বছর মোট আটটি চিতাকে নামিবিয়া থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে এ দেশে। তার পর মধ্য প্রদেশে কুনো জাতীয় উদ্যানে আটটি চিতাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনেও এ ভাবেই আফ্রিকা থেকে চিতা আনতে চায় ভারত। তার পর ভারতের বিভিন্ন জাতীয় উদ্যানে তাদের রেখে ভারতেও চিতার জনসংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে চুক্তি করল ভারত। আগামী এক দশকে সে দেশ থেকে ভারতে চিতা আনার জন্য প্রয়োজনীয় চুক্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
আফ্রিকান পরিবেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১২ চিতা পাঠানো হবে ভারতে।” এ ভাবে প্রতি বছরই ১২টি করে চিতা ভারতে পাঠানো হবে বলে আফ্রিকার পরিবেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। আগামী ৮ থেকে ১০ বছর এ ভাবে ভারতে চিতা পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে দক্ষিণ আফ্রিকার তরফে জানানো হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে অশ্বিনী কুমার চৌবে রাজ্যসভায় জানিয়েছিলেন, নামিবিয়া সরকার এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের সঙ্গে মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রতি বছর সেখান থেকে চিতা আনা হবে। ভারতে চিতার সংখ্যা বাড়ানোর জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ বছর এ ভাবে চিতা আনা হবে ভারতে।
১৯৫২ সালে ভারতে অবলুপ্ত হয়ে যায় চিতা। ৭০ বছর তীব্র গতির এই বন্যপ্রাণীর দেখা মেলেনি ভাতে জঙ্গলগুলিতে। ভারতে চিতা ফেরানোর জন্য ‘অ্যাকশন প্ল্যান ফর রিইন্ট্রোডাকশন অব চিতা’ প্রকল্প নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসাবে ২০২২ সালে ৮টি চিতা নামিবিয়া থেকে আনা হয় ভারতে। এর জেরে ভারতে ৭০ বছর পর ফিরে আসে চিতা। ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কুনো জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেন সেগুলিকে। আটটি চিতার মধ্যে ছিল পাঁচটি স্ত্রী চিতা আনা হয়েছিল। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের জেরে ভারতের জঙ্গলগুলি চিতার স্বাভাবিক আবাস গড়ে ওঠে কি না সেটাই এখন দেখার।