লখনউ: নির্বাচনের কমিশনের (Election Commission Of India) বিরুদ্ধে এবার গুরুতর অভিযোগ তুললেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। অখিলেশের দাবি, উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন যখন ভোটার তালিকা তৈরি করেছিল, তখন নিয়ম মানেনি কমিশন। বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে অখিলেশ জানিয়েছেন, বিজেপি সরকার ‘ষড়যন্ত্র’ করে বিরোধীদের কণ্ঠ দমন করা হয়েছে।
আসন্ন পুর নির্বাচন নিয়ে শুক্রবার বৈঠকে বসেছিল সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতার। শুক্রবার প্রেস বিবৃতি করে জারি করে অখিলেশ বলেন, “নির্বাচন কমিশন বিধানসভা ভোটের সময় যদি নিয়ম মেনে প্রার্থী তালিকা তৈরি করত, তবে এতজন ভোটারের ভোটদানের অধিকার খর্ব হত না।” নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলে অখিলেশ জানিয়েছেন, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করা কমিশনের দায়িত্ব। তিনি বলেন, “কোনও রকম চাপ বা প্রশাসনিক ভয়ে উপেক্ষা করে সুষ্ঠভাবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করাই কমিশনের দায়িত্ব।”
প্রেস বিবৃতি বলেন, “নির্বাচনের সময় লখনউয়ের ডিআইজি লক্ষ্মী সিংয়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ট্রান্সফার করা হয়নি। কিন্তু তাঁর স্বামী সরোজিনী নগরের বিজেপি প্রার্থী ছিলেন। একই পদে দীর্ঘদিন ধরে থাকা প্রশাসনিক আধিকারিকদেরও বদলি করা হয়নি। এমন অনেক জায়গায় স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই অফিসার, কিন্তু তাসত্ত্বে তারা সেখানে কাজ চালিয়ে গিয়েছেন।” নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে অখিলেশের প্রশ্ন, “বিধানসভা নির্বাচনের সময় কেন শেষ মুহূর্তে হাজার হাজার ভোট গ্রহণ কেন্দ্র বদল করা হয়েছিল? এই কারণে অনেকে ভোট দিতে পারেননি। ভোটার তালিকা থেকে অনেক বৈধ ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। প্রশাসনের কারণে ভোটদান ধীর গতিতে হয়েছে।”
দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন অখিলেশ। দলীয় নেতাদের তিনি জানিয়েছেন, এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেই কারণে ভোটের প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখা যাবে না। বৃহস্পতিবার ভোটার তালিকা থেকে মুসলিম ও যাদব ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার যে অভিযোগ অখিলেশ করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রমাণ চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। ১০ নভেম্বরের মধ্যে অখিলেশকে বিধানসভা ভিত্তিক প্রমাণ জমা করতে বলে চিঠি লিখেছে কমিশন।