Uri: ‘শেষটা দেখেই ছাড়ুক ভারত’, বাসস্থানের ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়ে বলছে ওরা
Uri: অনেকেরই বাড়িঘর ধূলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। ভেঙে পড়েছে ছাদ, ভেঙে পড়েছে দেওয়াল। থাকার মতো পরিস্থিতি নেই। তারপর কোথাও যায়নি ওরা।

শ্রীনগর: সীমান্ত এলাকার অধিকাংশ গ্রাম এখনও সম্পূর্ণভাবে জনশূন্য। গত শনিবার ঘোষণা করা হয়েছে যুদ্ধবিরতি। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনও গ্রামবাসীদের ঘরে ফেরাচ্ছে না প্রশাসন। প্রশাসনের আশঙ্কা, গ্রামের যে কোনও জায়গায় মর্টার শেল পড়ে থাকতে পারে। সেগুলি ফাটলে বিপদ হতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত না সেনাবাহিনীর তরফ থেকে বম্ব স্কোয়াড গিয়ে গ্রামগুলি স্যানিটাইজ করা হচ্ছে, ততক্ষণ গ্রামে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না।
এই প্রতিকূলতার মধ্যেও যারা সীমান্তের দিকে কার্যত বুক ঠুকে থেকে গিয়েছেন গ্রামে, তারা পাকিস্তানের এই নির্লজ্জ কাপুরুষতা নিয়ে আক্ষরিক অর্থেই ক্ষোভে ফুঁসছেন। কারণ এর আগে কখনও সাধারণ মানুষের উপর এভাবে হামলা চালানোর কোনও অভিজ্ঞতা এই এলাকার মানুষের নেই।
অনেকেরই বাড়িঘর ধূলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। ভেঙে পড়েছে ছাদ, ভেঙে পড়েছে দেওয়াল। থাকার মতো পরিস্থিতি নেই। তারপর কোথাও যায়নি ওরা। তা সত্ত্বেও অনেকেরই দাবি সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণার আগে পাকিস্তানের সঙ্গে সর্বশেষ বোঝাপড়াটা এবার করে নেওয়াই উচিত।
এক বৃদ্ধ বলেন, এখানে প্রচুর বোমা ফেলা হয়েছে। কে বেঁচে আছে, কার মৃত্যু হয়েছে, সেটাও বুঝতে পারছি না। উরির বাসিন্দা আকলাখ বলেন, “বারবার একই ঘটনা ঘটছে। বারবার আমাদের ক্ষতি হয়। মৃত্যু হয়। সব ধ্বংস হয়ে যায়। তাই আমরা এর একটা শেষ দেখতে চাই। আমরা চাই যেন এটাই শেষ যুদ্ধ হয়।”
প্রতিবেদনটি TV9 বাংলার রিপোর্টার প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে লেখা।





