নয়া দিল্লি: ধীরে ধীরে আরও জটিল হচ্ছে সুদানের পরিস্থিতি (Sudan Crisis)। সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে ক্রমশ্য বেড়েই চলেছে সংঘর্ষ। এই পরিস্থিতিতে সে দেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের সতর্ক থাকতে বলা হল কেন্দ্রের তরফে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, সুদানের পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। খারতুমের দূতাবাস খোলা রয়েছে, তবে আপাতত ভারতীয়দের (Indians) সেখানে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। খারতুমের দূতাবাসের কর্মীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজ করছেন বলে জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেই আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে আমেরিকা, ব্রিটেন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারের বিষয় নিয়ে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি যথাসম্ভব সাহায্য ও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “সুদানের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। বর্তমানে আমাদের মূল লক্ষ্য় হল আটকে থাকা ভারতীয়দের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। আমরা বিভিন্ন মাধ্য়মে আটকে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছি।”
এই ধরনের কঠিন পরিস্থিতিতে বিদেশে বসবাসকারী নাগরিকদের একমাত্র ভরসাস্থল দূতাবাস হয়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানান, সুদানের খারতুমে ভারতীয় দূতাবাস খোলা রয়েছে, সেখানে যাবতীয় কাজকর্মও চলছে। তবে বিমানবন্দরের খুব কাছেই অবস্থিত দূতাবাস, ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে, ক্রমাগত সংঘর্ষ চলছে। সেই কারণেই দূতাবাসের কর্মীরা অন্যান্য জায়গা থেকে দূতাবাসের কাজ সামলাচ্ছেন। বর্তমানে ভারতীয় দূতাবাসের বিল্ডিংয়ে কেউ নেই।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বর্তমানে নিউইয়র্কে রয়েছেন। সেখানে তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সচিবের সঙ্গে সুদানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গিয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “ভারতীয়দের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। সুদানে আমাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তবে ভারতীয়দের উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে কখন যুদ্ধবিরতি হবে এবং আটকে থাকা নাগরিকদের উদ্ধার করে আনার জন্য নিরাপদ কোনও জায়গা পাওয়া যাবে।”
উল্লেখ্য, গত বুধবারই সরকারি সূত্রে জানা যায়, সুদানে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্য আমেরিকা, ব্রিটেন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরহশাহির সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।