নয়া দিল্লি: বাঙালি বিপ্লবীদের মূর্তি বসবে না সেলুলার জেলে। রাজ্যসভায় প্রশ্নের উত্তরে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। ব্রিটিশদের ডকুমেন্টস অনুযায়ী সেলুলার জেলে সবচেয়ে নৃশংস অত্যাচার হয়েছিল যার উপর তাঁর নাম উল্লাস কর দত্ত। আন্দামানের সেলুলার জেল ভেঙে পালাতে পেরেছিলেন একমাত্র বিপ্লবী বারীন ঘোষ। বুড়িবালামের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এহেন উল্লাস কর দত্ত, বারীন ঘোষের মত বাঙালি বিপ্লবী যাদের বীরগাঁথা সেলুলার জেল জুড়ে রয়েছে তাদের মূর্তি এই জেলে বসবে না। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। তা নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
১৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রশ্নে ঋতব্রত জানতে চেয়েছিলেন, আন্দামান সেলুলার জেলে অবিভক্ত বাংলার কত জন বিপ্লবী ছিলেন। উত্তরে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ৫৮৫ জন বিপ্লবী বন্দীর মধ্যে ৩৯৮ জন ছিলেন অবিভক্ত বাংলার। আন্দামান সেলুলার জেল ন্যাশনাল মনুমেন্ট কিনা? এও প্রশ্নও করেন ঋতব্রত। উত্তরে মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আন্দামান সেলুলার জেল এখনও ন্যাশনাল মনুমেন্টস নয়। এখনও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে নেই এই ঐতিহাসিক জেল।
এদিন অর্থাৎ ২৭ মার্চ ঋতব্রত জানতে চান, উল্লাস কর দত্ত এবং বারীন ঘোষের আবক্ষ মূর্তি বসানোর কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের আছে কিনা? জবাবে মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এ ধরনের কোনোও পরিকল্পনা নেই। কেন্দ্রের উত্তরে অসন্তুষ্ট ঋতব্রত। ক্ষোভের সুরেই বলছেন, “এটা অদ্ভুত যে এটা এখনও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে নেই। এদিকে সেলুলার জেলের অনেক উইংই ভেঙে গিয়েছে।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “বিপ্লবী উল্লাস কর দত্ত, বারীন ঘোষের মত বাঙালি বিপ্লবীর মূর্তি থাকবে না তো ওখানে কী থাকবে?”