AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Delhi Air Pollution: শ্বাস নিলেই বিষ! মাত্রা ছাড়া দূষণ আটকাতে চালু হল GRAP-4, কী নিয়ম মানতে হবে?

GRAP-4 in Delhi: দিল্লিতে দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে রোগের শেষ হচ্ছে না। বিশেষত ফুসফুসের সমস্যা। প্রায় প্রতি ঘরে ঘরেই হাঁপানি বা দূষণ সংক্রান্ত অন্য কোনও রোগ দেখা দিচ্ছে। বাইরে মাস্ক ছাড়া বেরনো অসম্ভব। বেরলেই চোখ, নাক জ্বালা, গলা ধরছে।  

Delhi Air Pollution: শ্বাস নিলেই বিষ! মাত্রা ছাড়া দূষণ আটকাতে চালু হল GRAP-4, কী নিয়ম মানতে হবে?
দিল্লিতে ভয়ঙ্কর দূষণ। Image Credit: PTI
| Updated on: Dec 14, 2025 | 7:41 AM
Share

নয়া দিল্লি: বিষ বাতাস রাজধানীতে। প্রতি বছরই শীতকালে দূষণের চাদর মুড়ে ফেলে দিল্লিকে, তবে এবার পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর। বাতাসে বিষ নয়, তার থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু মিশে আছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে এবার আরও চরম পদক্ষেপ দিল্লি সরকারের। গ্রেডেড অ্যাকশন রেসপন্স প্ল্যান (GRAP)-র তৃতীয় স্টেজ কার্যকর করা হয়েছিল। ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই তা বদলে গ্রাপ স্টেজ-৪ কার্যকর করা হল। কী হবে এতে?

দিল্লি সরকার সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলিকে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত হাইব্রিড মোডে ক্লাস নিতে নির্দেশ দিয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি অফিসেও ৫০ শতাংশ কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে। সম্পূর্ণ বন্ধ নির্মাণ কাজ।

শনিবার দিল্লিতে বাতাসের গুণমান বা এয়ার কোয়ালিটি (AQI) “ভয়াবহ” (severe) থেকে “আরও ভয়াবহ” (severe plus) স্তরে নেমে আসে। সন্ধে ছ’টায় দিল্লিতে বাতাসে গুণমান ছিল ৪৪১। এরপরই কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় গ্রাপের স্টেজ ফোর কার্যকর করে।

দিল্লিতে দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে রোগের শেষ হচ্ছে না। বিশেষত ফুসফুসের সমস্যা। প্রায় প্রতি ঘরে ঘরেই হাঁপানি বা দূষণ সংক্রান্ত অন্য কোনও রোগ দেখা দিচ্ছে। বাইরে মাস্ক ছাড়া বেরনো অসম্ভব। বেরলেই চোখ, নাক জ্বালা, গলা ধরছে।  

পরিবেশ (রক্ষা) আইন ১৯৮৬ অনুযায়ী, দিল্লির সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মীদের নিয়ে কাজ চালাতে হবে। বাকি ৫০ শতাংশ কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করবেন।

দিল্লির স্কুলগুলি চলবে হাইব্রিড মোডে। অর্থাৎ স্কুলে ও অনলাইনে- দুই ভাবেই ক্লাস হবে। নার্সারি থেকে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত (দশম শ্রেণি বাদে) পড়ুয়ারা হাইব্রিড মোডেই পঠনপাঠন করবে। কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও বন্ধ রাখা সম্ভব কি না, তা পর্যালোচনা করতে বলেছে সরকার। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা নয়, এমন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলিও বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

স্টেজ ফোর রেস্ট্রিকশনের অধীনে দিল্লিতে ট্রাক ঢোকা নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ে যে ট্রাকগুলি আসছে, সেগুলিই প্রবেশ করতে পারবে। সিএনজি বা এলএনজি কিংবা ইলেকট্রিক গাড়ির প্রবেশে কোনও বাধা নেই। দূষণ যদি আরও বাড়ে, তাহলে গাড়ির জোড়-বিজোড় নিয়ম ফের চালু করা হতে পারে।